২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

১৭ এমপিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৬ অপরাহ্ণ, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: ভারতে কর্নাটক রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের ১৭ বিদ্রোহী সংসদ সদস্যকে বরখাস্তের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তাদের আসন্ন উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

গত জুলাইয়ে এসব সংসদ সদস্য বা বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন কর্নাটক বিধান সভার তত্কালীন স্পিকার কে আর রমেশ কুমার। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া এমপিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্পিকারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, তাদের আসন্ন উপনির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

রায় দিতে গিয়ে বুধবার শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে নীতিবোধ বিষয়টি সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে সমান ভাবে জড়িয়ে রয়েছে।’

গত জুলাই মাসে দলত্যাগ বিরোধী আইনে কংগ্রেসের ১৪ জন এবং জেডিএসের তিন বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন তৎকালীন স্পিকার। একই সঙ্গে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ পর্যন্ত তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন স্পিকার। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিদ্রোহীরা। পাল্টা আদালতে যায় কংগ্রেস এবং জেডিএস-ও। মঙ্গলবার সেই মামলার রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

কর্নাটকের ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫ আসনে আগামী ৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচন হতে চলেছে। মোট ২২৪ আসনের বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৬ বিধায়ক। বিরোধী জেডিএস এবং কংগ্রেস জোটের হাতে রয়েছে ১০০টি আসন। কর্নাটকের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে গেলে ১৫টি আসনের উপনির্বাচনে অন্তত ৬টি-তে জিততেই হবে বিজেপিকে। বিভিন্ন সূত্রের মতে, কংগ্রেস বা জেডিএস ছেড়ে বেরোনো বরখাস্ত হওয়া বিধায়করাই বিজেপির হয়ে প্রার্থী হবেন।

২০১৮ সালে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। ২২৪ আসনের মধ্যে ভোট হয় ২২২টিতে। ১০৪টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয় বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস ৭৮ এবং জেডিএস ৩৭ আসনে জয় পায়। ওই দুই দল মোট ১১৫ আসন নিয়ে জোট সরকার গঠন করে। পরে দুটি আসনের নির্বাচনে ১টিতে কংগ্রেস এবং ১টিতে জেডিএস জয়ী হয়।

গত জুলাই মাসে পরিস্থিতি বদলে যায়। কংগ্রেস-জেডিএসের ১৭ জন বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করায় সংখালঘু হয়ে পড়ে সরকার। ২৩ জুলাই ২০১৯ আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় কুমারস্বামী সরকার। কর্নাটকের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই মুহূর্তে ২০৭ জনের বিধানসভায়, এক নির্দল বিধায়ক এবং এক কেপিজেপি বিধায়কসহ ১০৬ জন এমপি রয়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার হাতে।

কর্নাটকের সরকার ভাঙা গড়ায় টাকার খেলা রয়েছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোদির দল বিজেপি।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন