২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

২ হাজার ৬শ’ বছর আগের মমির রহস্য উদঘাটন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫২ অপরাহ্ণ, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ২ হাজার ৬শ’ বছর আগের মমির রহস্য উদঘাটন করেছে প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ১৮৩৪ সালে মিশরের পশ্চিম থিবসের সুপ্রাচীন সমাধি থেকে পাওয়া তাকাবুতি নামে নামে সুন্দরি এক নারীর মমি নিয়ে বেশ রহস্যের সৃষ্টি হয়েছিলো।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একদল গবেষক জানিয়েছেন, খুন করা হয়েছিল তাকাবুতিকে। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তাকাবুতির সমস্ত কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষাও। সিটিস্ক্যানে দেখা গিয়েছে বাঁ দিকে পিঠে গভীর ক্ষত রয়েছে। যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, কোনও ধারাল ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছিল এই সুন্দরীকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, তাকাবুতির ডিএনএ-এর সঙ্গে মিশরীয় জিনের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। ওই মমির জিনের সঙ্গে মিল রয়েছে ইউরোপীয়দের। তাহলে কী করে মিশরে মমি করে সমাধিস্থ হল তাকাবুতিকে! কী ভাবেই বা মিশরীয় পুরহিত তাঁর বাবা হলেন! এ রকম নতুন কয়েকটি বিষয় নিয়ে রহস্য ফের দানা বেঁধেছে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মনে। বিশ্বে নানা প্রান্তের ঐতিহাসিক মহলে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

জানা যায়, চড়া দাম দিয়ে মিশর থেকে এই মমিটি কিনেছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের হলিউড শহরের শিল্প সংগ্রাহক থমাস গ্রেগ। আয়ারল্যান্ডে মমিটি আসার পর সারা হলিউড শহর জুরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে। এর পর ১৮৩৫ সালে থমাস গ্রেগ মমিটিকে উলস্টার মিউজিয়াময়ে দিয়ে দেন।

১৮৩৫ সালে বিখ্যাত মিশর পুরাতত্ত্ববিদ এডয়ার্ড হিঙ্কস, মিশর থেকে আসা এই মমিটি পরীক্ষা করেছিলেন। কফিনের উপরে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে কফিনের ভেতরে থাকা মহিলার সম্মন্ধে যা লেখা ছিল, তা হল কফিনের ভেতরে থাকা মহিলার নাম তাকাবুতি। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ২০-৩০ বছর। তাকাবুতি সম্ভ্রান্তবংশের মেয়ে। ঐতিহাসিকদের ধারণা, তিনি কোনও সম্ভ্রান্তবংশের বউ বা রক্ষিতা ছিলেন। তাকাবুতির বাবার নাম ছিল নেসপার। যিনি আমুন দেবতার পুরোহিত ছিলেন। মায়ের নাম ছিল তাসেনিরিক।

মমির শরীর থেকে ব্যান্ডেজ খোলার পর চমকে উঠেছিলেন পুরাতত্ত্ববিদ এডয়ার্ড হিঙ্কস। তাঁর অভিজ্ঞতায় এমন মমি তিনি আগে কখনও দেখেননি। অস্বাভাবিক কালো রঙের মুখ ও সোনালি চুল নিয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন তাকাবুতি। সেই সময় তাকে নিয়ে লেখা হয়েছিল প্রচুর কবিতা ও গান। মিশরে ২৫তম রাজবংশের শেষের দিকে মারা গিয়েছিলেন তাকাবুতি। সেই সময় ফেস রিকন্সট্রাকশান পদ্ধতিতে জানা গিয়েছিল জীবিত অবস্থায় কেমন দেখতে ছিল তাকাবুতিকে। কিন্তু মৃত্যুর আসল কারণ তখনও জানা যায়নি।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন