২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

৩ দিনে মালয়েশিয়ায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি আটক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ অপরাহ্ণ, ১২ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ৭ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি ইমিগ্রেশন ও পুলিশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম, সেলাংগার, কেডাহ ও রাজধানী কুয়ালালামপুরের কনস্ট্রাকশন সাইটে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে বলে সূত্রে জানা গেছে।

৭ জানুয়ারি সেলংগর প্রদেশের শাহ আলম বাতুকাভাহ, কোতা দামানছারার পাচার রায়া, মেডান সেলেরা, রেস্টুরেন্টসহ ৭টি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৮২ জনকে। এ ছাড়াও কেদাহ প্রদেশের আলো্র সেতার কুলিমে একটি ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ৭০ জন বাংলাদেশিসহ ১৪৫ জনকে। অপর এক অভিযানে আলোরসেতারে আরো আটক হন ৫৬ বাংলাদেশিসহ আরো ৭০ জন।
৮ জানুয়ারি রাজধানীর বুকিত কিরিংছি এবং কেপোং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ বাংলাদেশিসহ ৩৪ জনকে আটক করে অভিবাসন বিভাগ। সবশেষে ১০ জানুয়ারি সেলংগর শাহ আলমের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন সাইটে অভিযান চালিয়ে ৯৭ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আটক হচ্ছে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।

গত বছরের আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার জন্য সে দেশের সরকার কর্তৃক দেওয়া ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে অভিবাসন বিভাগ।

এদিকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগ। এটা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যা শুধু জাতীয় ও সীমান্ত নিরাপত্তাকেই বিঘ্নিত করে না বরং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অবৈধ শ্রমিক বা অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য মালয়েশিয়া সরকার ২০১৭ সালে সুযোগ দেয়। যা শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। ওই বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে বহু বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করে প্রতারণার শিকার হয়। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সে দেশের সরকার ব্যাক ফর গুড কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ ত্যাগের সুযোগ দেয়, যা শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন