১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

৬৮ বছরেও অনেক বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেনি শহীদ মিনার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৪ অপরাহ্ণ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হতে চললেও কুড়িগ্রামের ৯৩ ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেনি গৌরবের শহীদ মিনার। অথচ ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের শহীদ মিনারগুলোর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। অথচ এই দিনে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হবেন জেলার ৩ লক্ষাধিক শিশু শিক্ষার্থী।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৮৮ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮ টি, চিলমারিতে ৯৩ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২ টি, রৌমারীতে ১১৪ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০ টি, ফুলবাড়িতে ১৪৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩ টি, ভূরুঙ্গামারীতে ১১২ টি মধ্যে ১৪ টি, নাগেশ্বরীতে ১৯৫ টি মধ্যে ১৫ টি, রাজারহাটে ১২৩ টি মধ্যে ১৫ টি, রাজীবপুরে ৫৭ টি মধ্যে ৩ টি এবং উলিপুরে ২৬৮ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৫ টিতে শহীদ মিনার রয়েছে।

জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, ভাষা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর পাশাপাশি এসব আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা এবং অবদান আমাদের শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য শহীদ মিনারের গুরুত্ব অপরিসীম।

রাজারহাট উপজেলার অধিবাসী এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ভাষা আন্দোলন হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সূতিকাগার। আর শহীদ মিনার হচ্ছে সেই গৌরব গাঁথার প্রতীক। আর আজকের শিশুরাই যেহেতু আমাদের ভবিষ্যৎ তাই তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে গৌরবের প্রতীক শহীদ মিনার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সময় পার হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়া দুঃখজনক। এজন্য কোন বরাদ্দও নেই। তাই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ মাধ্যমে কিংবা সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়ে আগামী ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। তারপরও মুজিববর্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন