২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

৭০টি চরে ঘোড়ার গাড়ীই প্রধান বাহন!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০২ অপরাহ্ণ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

৭০টি চরে ঘোড়ার গাড়ীই প্রধান বাহন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে এখন জনপ্রিয় উঠেছে ঘোড়ার গাড়ী। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা আর শুকনো মৌসুমে মালামাল বহনের একমাত্র ভরসা ঘোড়ারগাড়ি। জেলার ১৬৫টি চরের মধ্যে ৭০টি চরে রয়েছে ৫ শতাধিক ঘোড়ার গাড়ী।

এতে দুর্গম এসব চরের লোকজন যাতায়াত ও কৃষিপণ্য খুব সহজেই ঘোড়ার গাড়িযোগে বহন করছে। ফলে ঘোড়া গাড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরের জাহাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীদ্ধারা একবারে বিচ্ছিন্ন গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে রয়েছে ১৬৫টি চর এলাকা। পানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর চরাঞ্চল গুলি ধু- ধূ মরুভুমির মত রূপান্তরিত হয়। এসব দূর্গম চরাঞ্চলে নেই চলাচলের রাস্তাঘাট।

আকাঁ-বাঁকা মেঠো পথে ধরে এবং বালুময় পথের মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ও তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিজের ঘাড়ে কষ্ট করে আনা-নেয়া করতো।

কিন্ত চরাঞ্চলবাসীর দুর্ভোগ লাগবে বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল জমি থেকে তুলে বাড়ি ও উপজেলা সদরে বিক্রি করার জন্য নদীর ঘাটে নিয়ে আসার একমাত্র ভরসা এই ঘোড়ার গাড়ি।

রাস্তাঘাট না থাকায় চরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটে বেড়াচ্ছে এ চর থেকে ওই চরে। ফলে চরের উৎপাদিত ব্যাপক কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘোড়ার গাড়ী পরিবহনে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। আর ঘোড়ার গাড়ী চালিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে প্রায় ৫ শতাধীক পরিবার।

তবে ঘোড়ার গাড়ী চালকরা জানান, টিপ প্রতি ৫০০ টাকা আয় হয়। ঘোড়ার খাবারের জন্য প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় ১০০-১৫০ টাকা। বাকি টাকায় চলে সংসার।অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা বলেন, ‘ঘোড়ার গাড়ি না থাকলে আমাদের খুব কষ্ট হতো। ঘোড়ার গাড়িতে বস্তা বহন করতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া যাক, কিন্তু আমাদের অনেক সুবিধা হছে। এখন আর পিটে করে বস্তা নিতে হয় না।’

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, ‘চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় ঘোড়ার গাড়িই মাল বহনের একমাত্র বাহন। গাড়িয়ালদের সহযোগিতা করলে ঐতিহ্যবাহী এই বাহন টিকে থাকবে যুগের পর যুগ।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন