১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মানবতার ফেরিওয়ালা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, ০৫ এপ্রিল ২০২০

পুলিশ কর্মকর্তা হলেও অসহায় মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ফাতিহা ইয়াসমিন। তার মতো কিছু পুলিশ কর্মকর্তার করা ভালো কাজগুলো পাল্টে দিচ্ছে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক সব ধারণা।

জানা গেছে, ঝালকাঠিতে যোগদান করার পর থেকে তার কঠোরতায় জেলায় মাদকের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। আগেরমত চুরি-ডাকাতির ঘটনাও নেই। অপরাধ দমনে তিনি কঠোর হলেও অসহায় মানুষের কাছে তিনি বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থল।

করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এই সময় অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন এসপি ফাতিহা ইয়াসমিন। বেকার হওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও নিম্নআয়ের পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি। এসপির নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ত্রাণসামগ্রী বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আটা, লবণসহ অন্যান্য সামগ্রী।

রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নলছিটি থানা চত্বরে বেশ কয়েকজনের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন পুলিশ সুপার। এরপর পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে জনসাধারণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

এরআগে শনিবার সকালে ঝালকাঠি পুলিশ লাইনস এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে জরুরি খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের উদ্যোগে শতাধিক বেদে সম্প্রদায়, হিজড়া ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় নিম্নআয়ের কর্মহীন মানুষের মাঝে পুলিশের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. হাবীবুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. ছোয়াইব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান, নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদারসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে নিম্নআয়ের মানুষ অসহায় দিনযাপন করছে। সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাড়াচ্ছে জেলা পুলিশ।

যারা একেবারেই কাজ করতে পারছেন না, আবার লজ্জায় কারও কাছে সহযোগিতা চাইতে পারছেন না- এমন পরিবারগুলোকে পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ায় পুলিশ সুপারের এ উদ্যোগ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন