২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠিতে নৌ পুলিশের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৪৮ অপরাহ্ণ, ২০ নভেম্বর ২০১৭

ঝালকাঠির রাজাপুরে জেলেদের কাছে চাঁদা দাবিতে মারধর ও দুই মণ ইলিশ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের বাকেরগঞ্জের নেয়ামতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমানসহ নৌ পুলিশের পাঁচ সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঝালকাঠির বিশেষ জজ আদালতে সোমবার দুপুরে রাজাপুরের পালট গ্রামের জেলে আবদুল মন্নাফ খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক অভিযোগ গ্রহণ করে আগামী ২৯ নভেম্বর আদেশ প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেন।

চাঁদা দাবিতে মারধর ও দুই মণ ইলিশ আত্মসাতের অভিযোগ

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজাপুর উপজেলার পালট ও বড়াইয়া গ্রামের শতাধিক জেলে প্রতিদিন বিষখালী নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাছ ধরতে হলে বিষখালী নদী তীরবর্তী নিয়ামতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে চাঁদা দিতে হয়।

বর্তমান ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান, এএসআই মো. আফজাল হোসেন, নায়েক মো. রিয়াজুল হক, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেন জেলে নৌকাপ্রতি দেড় হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এই টাকা না দিলে নদীতে মাছ ধরতে বাধা এবং নৌকা আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে রাখা হয়। ছাড়িয়ে আনতে গেলে নৌকাপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হয় পুলিশকে।

গত ১৫ নভেম্বর সকালে জেলে নুরুজ্জামান খান ও তার ভাই আবদুল মন্নাফ খান বিষখালী নদী থেকে কিছু বড় ইলিশ মাছ ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে পাইকার এসে মাছগুলো কিনে নেয়ার সময় হাজির হন নিয়ামতি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ সদস্য।

তারা জেলেদের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় ওই নৌ পুলিশ সদস্যরা জেলেদের মারধর করে এবং জেলে নুরুজ্জামান খানকে আটক করে।

তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা নিয়ে আটক জেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলেদের দুই মণ ইলিশ জোরপূর্বক নিয়ে যায় তারা।

এর প্রতিবাদ করলে পুনরায় জেলেদের মারধর করা হয়। পরে নৌ পুলিশ ওইদিনই রাজাপুর থানায় ১৭জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জন জেলের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি সাজানো মামলা করে। এ মামলায় দুই জেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নৌ পুলিশের এসআই আতিকুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৫ নভেম্বর বিষখালী নদীতে জাটকা ধরার সময় আমরা একজন জেলেকে আটক করে রাজাপুর থানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের মারধর করে আটক জেলে নুরুজ্জামানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বাদীর আইনজীবী মানিক আচার্য্য বলেন, বাদী মন্নাফ নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিতে গিয়েছিল। কমিশন অভিযোগ গ্রহণ না করায় বাদী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন