ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বারুকাঠি গ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ মেডিকেলে রেখে সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী মো. হেমায়েত হাওলাদার। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মারধর করে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে সটকে পড়েন।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মরদেহ ওই হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় লাশের পাশে বসেই স্বজনহারা আহাজারি করছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত তমা বেগম ছনিয়ার চাচা গাভারামচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন জানান, ৮ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে উত্তর বারুকাঠি গ্রামের মো. গনি হাওলাদারের পুত্র হেমায়েত হোসেনের সঙ্গে ছনিয়ার বিয়ে হয়। তিন বছরের মাথায় একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। প্রায়ই পিত্রালয় থেকে যৌতুক এনে দেয়ার দাবিতে মারধর ছনিয়াকে করত। গত শুক্রবার রাতে ছনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে শনিবার সকালে খোঁজ নিলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি বেডে গিয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় গলা, বুক ও পেটে একাধিক কালো দাগ দেখা গেছে।
প্রতিবেশীদের বরাদ দিয়ে মোতালেব হাওলাদার জানান, শুক্রবার রাতে ওই ঘর থেকে হেমায়েত, দেলোয়ার, মনোয়ার, আনোয়ার, ছনিয়া ও তার পুত্র সন্তানের চিৎকার শুনতে পাওয়া গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরোটাই স্তব্ধ হয়ে যায়। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, আমরা এ ধরনের কোন সংবাদ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনামঝালকাঠির খবর