২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে গরুর হাটে চাঁদাবাজি নিয়ে আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ১৮ আগস্ট ২০১৮

বরিশালে গরুর হাটে চাঁদাবাজি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সোহেল তালুকদার নামে এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজার এলাকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগ নেত্রী রেহেনা বেগমের স্বজনদের সাথে হাট ইজারাদার ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম ওরফে ইটালি শহীদের লোকজন এই সংঘর্ষে জড়ায়।

খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এই ঘটনার পর থেকে সেখান আ’লীগের দুটি গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে। ফের যে কোন সময় সংঘাতের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- গরুর হাটের ইজারাদার ইটালি শহীদের লোক চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার সম্পাদক সোহেল তালুকদারের ভাই রুবেল তালুকদার বিকেলে গরু বিক্রি শেষে যাচ্ছিলেন। ওই সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগ নেত্রী রেহেনা বেগমের ভাই বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিদুল ইসলাম রাসেল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তখন এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ইজারাদার ইটালি শহীদ যুবলীগ নেতা সোহেল তালুকদার নিয়ে সেখানে যান। ওই সময় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই আ’লীগ নেতা জামাল মুন্সি, মনির মুন্সি ও বাচ্চু মুন্সি একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা সোহেল ও তার ভাই রুবেলকে বেধম পিটুনি দেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি আরও ভয়ানক রুপ নেয়। তখন খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

তবে ইজারাদার ইটালি শহীদ অভিযোগ করেন- আহত সোহেলের কাছ থেকে গরু বিক্রির সাত লাখ ৩০ হাজার টাকা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল নিয়ে যান।

তবে টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশিদুল ইসলাম রাসেল বলছেন- তার ভাই জামাল মুন্সিও হাটের ইজারাদার। কিন্তু ইটালি শহীদ একা নিজেকেই শুধু ইজারাদার দাবি করেন। মূলত এই বিষয়টি নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন- সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিমসহ তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে হামলায় একজন আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছেন দাবি করে ওসি বলেন অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন