২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

একটি বাঁশের সাঁকোই দুই গ্রামের মানুষের ভরসা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ৩১ জুলাই ২০১৯

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি ও ভরতকাঠি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ৬০ ফুট চওড়া একটি খাল। এই  খালের উপর নির্মিত একমাত্র বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পার হতে হয় গ্রামবাসীদের। প্রায় দুই যুগ ধরে ওই গ্রাম দুটির ৫ শতাধিক পরিবারের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সাঁকোটি। সজরেমিনে দেখা গেছে, খালের পানি বেড়ে গেলে সাঁকোর অনেকটাই তলিয়ে যায়। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পেরিয়ে প্রতিদিন স্কুল যেতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধরা এটি পার হয় আতংক নিয়ে। রোগীদের এ সাঁকো পার হয়ে চিকিৎসা নিতে যাবার সময় পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।

এভাবে বছরের পর বছর ধরে গ্রামবাসী কষ্ট করে যাতায়াত করলেও এখানে ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছে লিখিত আবেদন করা হলেও এ সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। প্রায়ই এটি পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। উত্তর জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা খান মাইনউদ্দিন ও ভরতকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মহাসিন জানান, বিগত দিনে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমাদের দুই গ্রামের সংযোগ ও যাতায়াতের জন্য একটি ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচন এলেই খালটির ওপর কালভার্ট/ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থীরা হাজির হয় গ্রাম দুটির ভোটেরদের কাছে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আজ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা জানান, দুটি গ্রামের জনসাধারণের চলাচল ও যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম খালের ওপর ওই সাঁকোটি। গ্রামবাসীরা সাঁকো দিয়ে পারাপারে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যদিও এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের টেকসই প্রকল্পে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খালের ওপর ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ হতে পারে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন