২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

পিরোজপুরের সিয়াম ঢালিউডে সম্ভাবনাময় নায়ক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫২ অপরাহ্ণ, ২৯ মার্চ ২০২০

ক্যারিয়ারের শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও নাটকেই পেয়েছেন পরিচিতি। অভিনয়গুণেই দর্শকমহলে হয়ে উঠেন প্রশংসিত। নিজেকে ছোট পর্দায় আবদ্ধ না রেখে ২০১৭ তে নাম লিখান বড় পর্দায়। নিজের অভিষেক সিনেমা ‘পোড়ামন ২’তে রীতিমত বাজিমাত করে বসেন এ নায়ক। প্রয়াত সালমান শাহের পর এ নায়কই মনে হয় প্রথম সিনেমায় সাফল্য পেয়ে নিজেকে রাঙিয়ে চলেছেন আপন মনে। বলছি তারুণ্যের প্রিয় মুখ সিয়াম আহমেদের কথা।

একই বছরে মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় সিনেমা ‘দহন’ ও পরের বছর ‘ফাগুন হাওয়ায়’ দিয়ে নিজের অবস্হান পোক্ত করেন। সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অনেকের ভরসার পাত্র হয়ে উঠেন অল্প সময়েই।

অভিনেতার বাইরেও তিনি একজন ব্যারিস্টার। আজ এ নায়কের জন্মদিন। প্রথম প্রহর থেকেই সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব ও ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন।

এই মুহূর্তে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন সিনেমার শুটিংয়ে খুলনায় রয়েছেন সিয়াম। করোনা পরিস্হিতির কারণে এখনও ঢাকায় ফিরতে পারেন নি। জন্মদিন নিয়ে প্রতিবার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে আয়োজন করা হলেও এবার দেশের এমন পরিস্থিতির কারণে কিছুই করা হয়ে উঠে নি এ নায়কের।

সিয়াম জানান, দেশের এখন যা অবস্হা তাতে করে আমাদের সবার এখন নিরাপদ ও সচেতন থাকা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে জন্মদিন নিয়ে কিছু ভাবছি না। তবে সবার কাছ থেকে শুভেচ্ছা, ভালোবাসা পাচ্ছি। এতেই আমি তৃপ্ত। সবার এমন ভালোবাসা দেখে সত্যি জীবনে আরও অনেক কিছু করতে ইচ্ছে করে। এখনও অনেক কিছুই করার বাকি। দেখা যাক কি হয়!

করোনাভাইরাস আতঙ্কের এই মুহূর্তে দেশের মানুষকে, তার ভক্তদেরকে সতর্ক থাকার এবং ঘরে অবস্থান করে সচেতন হবার জন্য অনুরোধ করেন এই অভিনেতা। তিনি আশা রাখছেন খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আবারও ফিরে আসবে সেই চিরচেনা রূপে।

পিরোজপুরে জন্ম হলেও সিয়ামের বেড়ে উঠা ঢাকাতেই। ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছাত্র হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়ে এসেছেন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সিয়াম। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে তিনি বাবা মায়ের ইচ্ছেতেই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে। পরে সেটা ছেড়ে তিনি লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। সেখানে ‘বার এট ল’ সম্পন্ন করেন।

দেশে ফিরে আবারও কাজে মনযোগী হন তিনি। আয়নাবাজির অরিজিনাল সিরিজের ‘কে কোথায় কিভাবে’ নাটকে অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর ঝড়ের পড়ে, জ্যাকশন বিল্লাল, চিরকুটের শব্দ, মেঘ এনেছি ভেজা, ছেলেটি অবন্তিকে ভালোবেসেছিলো, তোমার আমার প্রেম সহ বেশ কয়েকটি দর্শকনন্দিত নাটক দিয়ে হয়ে যান বছরের সেরা টিভি অভিনেতা।

২০১৬ সালে ‘বখাটে’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তুমুল প্রশংসিত হন। এখান থেকেই তার ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরতে থাকে। ডাক পান বড় পর্দায় আর বাজিমাত করে বসেন প্রথম সিনেমাতেই। সে বছরের সবচেয়ে আলোচিত এবং ব্যবসাসফল সিনেমার লিস্টে জায়গা করে নেয় তার সিনেমা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতাকে।

মুক্তি পাওয়া তিন সিনেমার মাধ্যমে দর্শক এবং নির্মাতাদের কাছে আস্থার জায়গা তৈরি করে নেন এই অভিনেতা। এই মুহূর্তে দেশীয় সিনেমার সবচেয়ে ব্যস্ততম অভিনেতা বলা যায় তাকে। বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন এই অভিনেতা। এরই মধ্যে মুক্তির অপেক্ষায় তার দুটো সিনেমা বিশ্বসুন্দরী এবং শান। সিনেমা দুটো নিয়েই বেশ আশাবাদী এই তরুণ তুর্কী।

নির্মাণাধীন রয়েছে তার অভিনীত বেশ কিছু সিনেমা। এরমধ্যে রয়েছে অপারেশন সুন্দরবন, ইত্তেফাক,অ্যডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, স্বপ্নবাজী।

কাজের সম্মাননাস্বরূপ বেশকিছু পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে ভরে নেন এই অভিনেতা। তার মধ্যে আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা (দহন) হিসেবে বাচচাস পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে (পোড়ামন ২) মেরিল প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার, বাংলাদেশ-ভারত চলচ্চিত্র পুরস্কার (বিবিএফএ) উল্লেখযোগ্য।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন