২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জ্বলছে মার্কিন রণতরি ৩ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৮ অপরাহ্ণ, ১৫ জুলাই ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: মার্কিন রণতরির আগুন ৩ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিকাণ্ডের পর বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেছে। ওই রণতরিতে থাকা এ পর্যন্ত ৬১ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নৌঘাঁটিতে নোঙর করা ছিল আগুন লাগা মার্কিন নৌবাহিনীর ওই যুদ্ধ জাহাজ। ক্রমে তা বিধ্বংসী আকার নেয়।

রিয়াল অ্যাডমিরাল জানান, এই ৬১ জনের মধ্যে ৩৮ জন মার্কিন নৌবাহিনীর নাবিক। বাকি ২৩ জন নাগরিক। এই ৬১ জনের মধ্যে কয়েক জনের অল্প আঘাত লেগেছে। বাকিরা ধোঁয়ায়, আগুনের উত্তাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানান, ইউএসএস বোনহোমে রিচার্ডে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষয়ক্ষতিও নিরূপণ করা হবে।

রবিবার সকালে ডিয়েগো শিপইয়ার্ডে রাখা রণতরিতে বিস্ফোরণের জেরে আগুন ধরে যায় মার্কিন এই যুদ্ধজাহাজে। সেই থেকে আগুন জ্বলছে। রবি, সোম, মঙ্গল– তিনটে গোটা দিন কাটলেও আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়নি। মার্কিন নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরিতে কী করে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে জল দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে রণতরির জ্বালানি ট্যাংক সুরক্ষিত থাকলেও সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ইউএসএস বোনোহোম রিচার্ডে মার্কিন নৌবাহিনীর এক হাজার সদস্য থাকার কথা থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শিপইয়ার্ডে থাকায়, জাহাজটিতে ১৬০ জন ক্রু ছিলেন। মার্কিন নৌবাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে আগুন লাগার পর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, সান ডিয়েগো শিপইয়ার্ডে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য রাখা একটি ছোট জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ইউএসএস বনোহোম রিচার্ডে। আগুন দ্রুতগতিতে জাহাজের টাওয়ার-সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, আদতে ছোট জাহাজ থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কি না, সেসম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মার্কিন রণতরিতে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ইরানি জেনারেল বলেন, আমেরিকা-ইসরায়েলের জন্য সামনে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের কম্যান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বলেন, মার্কিন সরকার যে অপরাধযজ্ঞ করে বেড়াচ্ছে, এটা তার পরিণতি। শীর্ষ পর্যায়ের কম্যান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে জেনারেল কায়ানি বলেন, এটা এমন এক আগুন, যা ওদের নিজেদের পুড়িয়ে মারবে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন