১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

শিরোনাম

বরিশালে স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রি: স্বামীর সাত বছর কারাদণ্ড

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১০ পূর্বাহ্ণ, ০৪ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতাবেদক, বরিশাল:: স্ত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির মামলায় স্বামী মো. ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে সাত বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন আসামির অনুপস্থিতে এ রায় দেন। এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদউদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করবেন বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে পিডিআর আইনে আসামির সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ মার্চ বরিশালে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ওই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় এটি।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন মল্লিক বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে। তিনি স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মামলার বরাত দিয়ে ওই ট্রাইব্যুনালের স্টোনোগ্রাফার মো. জালাল মিয়া বরিশালটাইমসকে জানান, ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানী ঢাকায় যান ফরিদ উদ্দিন। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে যৌনপল্লীর মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দেন। প্রায় ২ মাস পর ১০ ডিসেম্বর খবর পেয়ে ফারজানার বাবা ও শ্বশুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই যৌনপল্লীতে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশ মিন্টু সর্দার ও সর্দারনী হোসনেয়ারাকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ফারজানার বাবা আবুল কারাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্বামী ফরিদউদ্দিন এবং পতিতালয়ের দুই সর্দার ও সর্দারনীকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

যৌনপল্লীর দুই সর্দার ও সর্দারনীকে অব্যাহতি দিয়ে স্বামী ফরিদউদ্দিনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনালে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন একমাত্র আসামি ও ভিকটিমের স্বামী ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে উল্লেখিত দণ্ডাদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি এবং সাজা পরোয়ানার জারির নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন