২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মহিষের কিল্লা ভাঙচুর ২ রাখালসহ শতাধিক মহিষ নিখোঁজ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৪ অপরাহ্ণ, ২৯ মে ২০২২

মহিষের কিল্লা ভাঙচুর ২ রাখালসহ শতাধিক মহিষ নিখোঁজ

সংবাদদাতা, দৌলতখান, ভোলা:: ভোলার দৌলতখানের ২০ জন মহিষ মালিকের ১ হাজার ২শ মহিষের আশ্রয়ে মেঘনার চরে নির্মিত কিল্লার ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তজুমদ্দিন উপজেলার মলনচরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ২৪ মে মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের সীমানায় মেঘনায় জেগে ওঠা ওই চরে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আবুল কাসেম ও কবির নামে দুইজন রাখালসহ শতাধিক মহিষ নিখোঁজ হয়। চারদিনেও নিখোঁজ দুই রাখাল ও মহিষের কোন সন্ধান মেলেনি। ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চর থেকে মহিষ উচ্ছেদের লক্ষে ওই হামলা ও ভাঙচুরের মূলকারণ বলে মহিষ মালিকরা জানান।

শনিবার সকালে মেঘনার ওই চরে গিয়ে কিল্লার মাঝখানে ওই ঘরটি ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হামলাকারীরা দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি রোড সোলার বাতি খাম্বাসহ তুলে নিয়ে যায় বলে মহিষ মালিকদের অভিযোগ।

মহিষ মালিক দৌলতখানের মসু, দুলাল ঘোষ, বশির মেম্বার, জাহাঙ্গীর শিকদার ও শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা ২০ জন গত দশ বছর যাবত বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের এ চরটিতে মহিষ পালন করে আসছি। কখনও কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত বছর তজুমদ্দিন উপজেলার মলনচরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল চরটি তার ইউনিয়নের দাবি করে মোটা অংকের চাঁদা নেন। এ বছর তার দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে আমরা ব্যর্থ হওয়ায় ২৪ মে রাতে তার নেতৃত্বে তজুমদ্দিন উপজেলার সোহেল পাটোয়ারী, জাকির মাল, জাকির হোসেন, রামগতি উপজেলার মিলন বেপারী, বাদশা, সোহাগ, সোহেল ও নুরনবী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিল্লায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় চরে থাকা সব মহিষ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে ১ হাজার ১শ মহিষ চরে ফিরে এলেও দুইজন রাখাল ও বাচ্চাসহ শতাধিক মহিষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাঞ্চন মিয়া ওই চরটি হাসান নগর ইউনিয়নের বলে দাবি করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত তজুমদ্দিন উপজেলার মলনচরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী সিকদার বাবুল বলেন, এ চরটি মলনচরা ইউনিয়নের সীমানায়। আমি মহিষ পালকদের চরে মহিষ পালতে দিয়েছি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মহিষের কিল্লাটি রাতে ঝড়ে ভেঙে গেছে। এখন ওই চরে চাষাবাদ ও নদী শিকস্তীদের পুনর্বাসন করে দেওয়া হবে।

তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এস.এম জিয়াউল হক জানান, এঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন