২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই দোয়া পড়বেন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ১০ আগস্ট ২০২২

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই দোয়া পড়বেন

রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। আবার অনেকেই আছেন রাতের খাবার খাওয়ার পর মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশে বিভিন্ন আমল করে থাকেন। যে যাই করুক না কেন সবাই কিন্তু এক সময় ঘুমাতে যায়। তাই ঘুমের আগে আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সা.) কোন দোয়াটি পাঠ করতেন মুসলমান হিসেবে তা আমাদের সবারই জানা দরকার।

আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ঘুম বা নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। (সুরা আন-নাবা; আয়াত -৯)

ঘুম মানুষের মস্তিষ্কজনিত সকল প্রকার চিন্তা-ভাবনাকে দূর করে মস্তিষ্ক ও অন্তরের সকল প্রকার স্বস্তি ও শান্তি দান করে।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

শোয়ার আগে বিছানাটা ঝেড়ে নেওয়ার জন্য। শোয়ার সময় ডান পাশে কাত হয়ে শোয়া ও অতঃপর এই দোয়া পড়া-

আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসি ইলাইকা ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহি ইলাইকা ওয়া ফাউওয়ায্তু আমরি ইলাইকা ওয়ালজা’তু যাহরি ইলাইকা রাগ্বাতা ওয়া রাহবাতান ইলাইকা লা মালজা’আ মিনকা ওয়া লা মানজা’আ মিনকা ইল্লা ইলাইকা আ-মানতু বিকাতা-বিকা। আল্লাজি আনঝালতা ওয়া বি নাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালাত।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমাতে সমর্পণ করলাম, তোমার দিকে মুখ ফেরালাম, আমার কাজ তোমার প্রতি ন্যস্ত করলাম এবং তোমার প্রতি ভয় ও আগ্রহ নিয়ে তোমার আশ্রয় গ্রহণ করলাম। তুমি ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। তোমার প্রেরিত কুরআনের প্রতি ঈমান আনলাম এবং তোমার প্রেরিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান আনলাম। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

ফজিলত

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, হে অমুক, যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন নামাজের ন্যয় অজু করবে। তারপর তোমার ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমাবে এবং উক্ত দোয়া পড়বে। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তুমি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তবে তুমি ইসলামের ওপর মৃত্যুবরণ করবে আর যদি তুমি ভোরে ওঠো, তবে তুমি কল্যাণের সঙ্গে ওঠবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন বলতেন-

*আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ’মু-তু ওয়া আ’হইয়া*

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমারই নামে আমি মৃত্যুবরণ করছি এবং তোমারই অনুগ্রহে জীবিত হব। (সহীহ বুখারী)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোয়ার সময় ডান হাত গালের নিচে রেখে নিম্নের দোয়াটি পড়তেন

আল্লাহুম্মা ক্বিন্নি আ’যা-বাকা ইয়াওমা তাব’আছু ই’বা-দাকা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার আযাব হতে রক্ষা কর, যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে কবর হতে উঠাবে। (জামে আত-তিরমিজি)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় সূরা বাক্বারার শেষ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

এ ছাড়াও রাতে ঘুমাবার সময় কোনো বান্দা আয়াতুল কুসরি পাঠ করে তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয় এবং শয়তান তার নিকট আসতে পারে না এবং (তার কোনো মালের অনিষ্ট করতে পারে না)। (সহীহ বুখারী)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে ঘুমানোর সময় সুরায়ে ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস পড়তেন। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

জামে আত-তিরমিজি শরিফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে রাতে শোয়ার সময় ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়তে বলেছিলেন।’

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন