২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ২

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৪১ অপরাহ্ণ, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষায় পৃথক সংঘর্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ও দুপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পৃথক এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুপুর ২টার দিকে নীলক্ষার গোপীনাথপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সোহরাব মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আহতরা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত সোহরাব মিয়া ওই এলাকার ওসামান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলক্ষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তাজুল ইসলামের সমর্থকরা। কিন্তু এতে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন আরও ১০ জন।

আবদুল হক সরকার ও তাজুল ইসলাম দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সদস্য।

এর আগে শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়িতে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে তোফায়েল রানা নামে এক স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে আহত হন আরও ছয়জন।

নিহত তোফায়েল রানা একই গ্রামের আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে। সে স্থানীয় বাঁশগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

শুক্রবার সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রয়াত সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বাবুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজন বালুমাঠ এলাকায় প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ছয়জন। তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন উল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পৃথক দুইটি ঘটনাই আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ঘটেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন