২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ভোলা-বরিশাল ব্রিজটি খুব দ্রুত করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২১ অপরাহ্ণ, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ভোলা ১ আসনের মনোনীত প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। আজও গ্রামেগঞ্জের মানুষ সেই অত্যাচারের কথা ভোলেনি। একাদশ নির্বাচনে মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে ধানের শীষের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তাদের যে অত্যাচার, নির্যাতন ও মা বোনেদের ইজ্জত লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ তার জবাব দেবে।

আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক নিজ হাতে গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন- আজ থেকে আমাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু হলো। জনগণের কাছে যাব। আমরা ২০০৮ সনের নির্বাচনের সময় দিন বদলের সনদ দিয়েছিলো। এবারো আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকার যে ইস্তেহার দেবো তা ঐতিহাসিক। কারণ ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী। ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজন্তী। এটাকে সামনে রেখে আমাদের ইস্তেহার সাজানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ স্বল্প উন্নয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা পৃথিবীর মধ্যে প্রাইজ ওয়াটার হাউজ কুপারের রিচার্স অনুসারে ২৮তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ও এইচ আরবিসি রিচার্স অনুসারে ২৬ তম অর্থনীতি আমাদের এ কথাগুলো থাকবে।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন গ্রামকে শহর করা সে ব্যপারে আমরা চিত্র তুলে ধরবো। ইতোমধ্যে গ্রাম শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তঘাট সব পাকা মনে হয় যেন শহর। ইস্তেহারে ঐতিহাসিক কতগুলো সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করেছি। এখানে পানি সম্পাদ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ছিল। তারা নদী ভাঙন রোধে কোনো চেষ্টা করেনি। আমিসহ ৪ জন এমপি আলী আজম মুকুল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব স্বস্ব এলাকায় সব চেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙন রোধে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি। আশা করি একাদশ নির্বাচনে ভোলায় ৪টি আসনে আবারও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো সরকার গঠন করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভোলা এক সময়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেত। ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ভোলাকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে ভোলায় একটিও পাকা রাস্তা ছিল না। এখন সব রাস্তা পাকা হয়েছে। যে কোনো মানুষ তার বাড়িতে গাড়িতে করে যেতে পারে। ভোলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ভোলার শত ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। এ ছাড়াও আমার যে স্বপ্ন ভোলা-বরিশাল ব্রিজ সেটিও খুব দ্রুত করা হবে।

তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তা আন্তজার্তিকভাবে স্বীকৃত। আজকে বাংলাদেশকে বলা হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল। একটি সরকার যদি বারবার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকে যে উন্নয়ন হয় তার প্রধান শেখ হাসিনা তার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি যদি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেন তা হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যে কোথায় যাবে তা এই মুহুর্তে বলে বোঝানো যাবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু,সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমূখ।

সোমবার সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক দলীয় বিভিন্ন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করেন। এ ছাড়ার ভোলা জেলার ৪টি আসনের অন্যান্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রতীক প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন