২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুনের মামলায় আসামি কারাগারে থাকা দুই ছাত্রনেতা’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৩২ অপরাহ্ণ, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ১৩৫ জনের মধ্যে কারাগারে থাকা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার ও ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে দেখে আবারো অস্থির হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারো উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মতো পুলিশরাও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দী নেতাদেরও গায়েবি মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বর্তমানে নতুন কোনো ইস্যু পাচ্ছে না। তাই আগের মতো আবার আগুনের খেলা শুরু করছে। বুধবার মধ্যরাতে এই ভোট ডাকাত সরকার তাদের ‘খয়ের খাঁ’ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুই মামলা করেছে।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ দুই মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা। বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ। ঘটনার পর ডিএমপি রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম শামীম সাংবাদিকদের বলেছেন, কারা কী উদ্দেশ্যে গাড়িগুলোতে আগুন দিয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও মোটরসাইকেল তিনটির মালিকানা কেউ দাবি না করায় মনে হচ্ছে আগুনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক।’

রিজভী বলেন, ‘ঘটনার পর এখনো বেওয়ারিশ মোটরসাইকেলগুলো মালিক খুঁজে পায়নি পুলিশ! অথচ মামলা হয়েছ ১৩৫ জন নেতার নামে। কি হাস্যকর মামলা যে, ৩টি মোটরসাইকেল পোড়াতে ১৩৫ নেতার প্রয়োজন পড়লো। সবাই জানেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের লোকজন এবং সরকারের বিশেষ বাহিনী পরিকল্পিত একেকটি ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নামে মামলা দিচ্ছে।’

‘অথচ এই মামলায় ১৩৫ আসামি মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার বহুদিন ধরে জেলে। গত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজ কারাগারে, অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রীর জামিন শুনানির আগের দিন হাইকোর্টসংলগ্ন এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বেষ্টিত ছিল এবং একধরনের সান্ধ্য আইন জারি ছিল। সেখানে মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর ঘটনা তারা ছাড়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। এভাবেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে আছে। কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে নাশকতা করার সমস্ত ইন্সট্রুমেন্ট শেখ হাসিনার কাছেই আছে। এই কারণেই গতকাল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ আদালতে জামিন দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল বেগম জিয়াকে আদালতের জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার ডিক্টেশনে। অ্যাটর্নি জেনারেল সেটি লিপিবদ্ধ করে আদালতকে দিয়ে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করেছেন।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন