পায়রা বন্দর সংলগ্ন গভীর সমুদ্র থেকে ১৪ জলদস্যুকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ-বাহিনী।
আটক জলদস্যুরা হচ্ছে- মো. জসিম উদ্দিন (২৮), আবু আহমে (৩৮), মো. মানিক মিয়া (৪৯), মো. ইউসুফ (২০), মো. মোর্শেদ হাওলাদার (২৮), আনসার হোসেন (২১), মো. ইয়াহিয়া (৩০), মো. আনিছ (২৫), মো. আমজাদ হোসেন (১৯), মিজানুর রহমান (২৮), মো. খালেদ হোসেন (১৯), এনায়েত আলী (২২), মো. নেছারম্নল করিম (২২) ও মো. কাওসার হোসেন (২২)।
এদের বাড়ি কক্সবাজার, বান্দরবন ও চট্রগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার শেষ বিকেলের দিকে ডাকাতিতে ব্যবহার করা ট্রলার এফবি নার্গিসসহ ১৪ জলদস্যুকে গভীর সমুদ্র থেকে আটক করে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এফবি নার্গিস ট্রলারের প্রধান মাঝি আবুল কালাম, দ্বিতীয় মাঝি করিম হোসেন, মিস্ত্রি আয়ুব আলী এবং বাবুর্চি শফিউল কাদেরকে উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আটক জলদস্যুদের মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় ট্রলার থেকে জব্দকৃত ১০ মণ ইলিশ মাছ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার কামরুল ইসলামের মাধ্যমে আইনগত পদ্ধতিতে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বল জানা গেছে ।
এ বিষয়ে সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া চট্রগ্রামের এফবি নার্গিস ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরা অবস্থায় পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে ৩০ কিলোমিটার সমুদ্র থেকে গত রবিবার ১৮ জেলেসহ তাদের ট্রলারটি অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে ট্রলারের ১৪ জেলেকে তারা একটি ট্রলারযোগে পাথরঘাটায় পাঠিয়ে দেয়। এরপরে তাদেরকে আগ্নোয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জলদস্যুরা সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে সাতটি ট্রলারে লুটপাট করে। লুটকরা মাছ, জ্বালানীসহ সকল মালামাল অন্য ট্রলারের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে সমুদ্রে টহলরত নৌ-বাহিনীর জাহাজ শহীদ মহিবুল্লাহ ডাকাতের গতিবিধি বুঝে ধাওয়া করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা তিনটি কাটা রাইফেল ও ধারালো অস্ত্র সমুদ্রে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আটককৃত ১৪ জলদস্যুদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তবে জলদস্যুদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সমুদ্রে ফেলে দেওয়ায় কোন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
তিনি আরো বলেন, জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া এফবি নার্গিস ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের কর্তৃক একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চার জেলে এবং ট্রলারটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।