ঝালকাঠিতে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় বোনকে ঘায়েল করতে সুপরিকল্পিত ভাবে ভাগ্নেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মামার বিরুদ্ধে। রবি কোম্পানীতে কর্মরত মেহেদী হাসান সুমন ওই যুবককে হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের মা শেফালী বেগম।
মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে নিহতের খালা হাসিনা বেগম বলেন, পিতার সম্পত্তি থেকে তিনি ও তার বোনদের বঞ্চিত করার জন্য ভাই আঃ হালিম হাওলাদার ও ফুপাতো ভাই মোঃ দুলাল হাওলাদার বিভিন্ন সময় হামলা-মারধর,অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছিল। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের পর পুলিশ ৪টিতে চার্জশীট প্রদান করে।
এতে হালিম ও দুলাল ক্ষিপ্ত হয়ে ভাগ্নে সুমনসহ বোনদের কয়েকবার খুন-গুমের হুমকি দেয়। এ অবস্থায় গত ১২জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুমন ও তার সহকর্মী বিদ্যুৎ রাজাপুর থেকে কোম্পানীর কাজ শেষে মোটরসাইকেলে ঝালকাঠি আসছিল। পথিমধ্যে রাজাপুর উপজেলাধীন বাড়ৈবাড়ি বাজারের এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আসামী হালিম ও দুলালের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ২/৩টি মোটরসাইকেলে পেছন থেকে এসে বিদ্যুৎ ও সুমনের উপর হামলা চালিয়ে জখম করে। পরে গুরত্বর আহত অবস্থায় এক পিকআাপ চালক সুমন ও বিদ্যুৎকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি হাসপাতালে আনে।
কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বিদ্যুৎকে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরের দিন তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ নিহত পরিবারকে তাড়িয়ে দেয়। রাজাপুর থানার ওসি ও ঝালকাঠির কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে টাকার জোড়ে ম্যানেজ করে আইন-আদালতের কাছে বিষয়টি সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করে আসামী পক্ষ হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুমনের মা শেফালী বেগম,বোন তায়েবা,ছোট ভাই ইমন হাওলাদার,খালা সেমালা বেগম, ফুপু শিরিন আক্তার ও চাচা মাসুদুর রহমানসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।