বার্তা পরিবেশক, কুয়াকাটা:: প্রতি বছর বছর খরচসহ ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা রাজস্ব দিয়ে এই খেয়ার ইজারা আনতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবারই ঘাটের সমস্যা সমাধানের কথা বললেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ওপারের জেটি নির্মাণ হলেও ঝুলে আছে এপারের জেটিটি। বাঁশ খুটা দিয়ে যাত্রীদের সুবিধা দিলেও কয়েক মাস পর থাকে না। ছোট খাটো কোন ঘূর্ণিঝড় আসলেই ভেঙ্গে ¯্রােতে ভেসে যায়। তালতলী পারের চেয়ে অর্ধেকও খরচ লাগবে না এপারের জেটি নির্মাণ করতে। অথচ ২৫ বছরেও ভোগান্তি কমছে না-এ কথাগুলো বলছেন খেয়াঘাটের ইজারাদার আব্দুল রাজ্জাক মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা মহিপুর থানার নিজামপুর ও বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়ায় রয়েছে কয়েক যুগ আগের একটি পুরনো খেয়াঘাট। খেয়াঘাটটি দুই উপজেলার লক্ষাধীক মানুষের যোগাযোগের সেতুবন্ধন হিসেবে পরিচিত। এটি আন্ধারমানিক নদীর মোহনায় অবস্থিত হওয়ায় ভাটার সময় দু’পাশ শুকিয়ে যায়। যার ফলে এখান থেকে চলাচলকারী পথচারীদের হাটু সমান কাদামাটি পার হয়ে খেয়ার নৌকায় উঠতে হয়। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ খেয়াঘাটে জেটি (খেয়া নৌকার ওঠার পথ) না থাকায় চর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। বিশেষ করে কলাপাড়া উপজেলা মহিপুর থানার নিজামপুর পাশে জেটি না থাকায় মানুষের দূর্ভোগ কমছে না। তালতলী উপজেলার নিশান বাড়ীয়ার অংশে গত বছর প্রায় কোটি টাকার ব্যয়ে রাস্তাসহ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্ত নিজামপুর পাড়ের যাত্রীরা হাটু সমান কাদা পানি পেরিয়ে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন এ ভাবেই ভোগান্তি পোহাচ্ছে পর্যটকসহ দুই উপজেলার জনগণ। প্রতি বছর রাজস্ব খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়লেও একপাশের জেটির কারণে ভোগান্তির শেষ নেই। পর্যটকসহ প্রায় লক্ষাধীক লোকের যাতায়াত এই খেয়াঘাটের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে জোর দাবী জানিয়েছেন দুই উপজেলার ভুক্তভোগী জনাধারণ।
দুই উপজেলার বাসিন্দা কুয়াকাটার দুলাল খান বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমার পরিবারসহ খুব ভোগান্তি নিয়ে খেয়া পার হতে হয়। জোয়ার দেখে দেখে পাড় হতে হয়, ভাটার সময় কষ্টের শেষ থাকে না। এভাবে ১২ বছর পার করলাম।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি খুব শীঘ্রই খেয়াঘাটটি পরির্দশন করে আগামী অর্থবছরে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।