পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মামুনর রশিদ পিঞ্জু শাহ (২৬)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত পিঞ্জু ধানীসাফা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। সে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের শাহাজাহান হাওলাদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার তুষখালী খেয়াঘাট এলাকায় তিনি এ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আহত পিঞ্জু অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তুষখালী খেয়াঘাটে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রুবেলকে নিয়ে চা পানের জন্য স্থানীয় নাসিরের চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ সাদ্দাম ও আরিফ বেপারীর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জনের একদল ধারালো অস্ত্রধারী যুবক তাদের ঘিরে ধরে পিঞ্জুকে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা পিঞ্জুকে কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা পিঞ্জু আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ধানীসাফা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে সাফা বন্দর বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে এ সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি করে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।