বরিশাল সদর উপজেলার তালুকদারহাট গ্রামের সাইদুল ইসলাম সবুর দেশের বাইরে থাকেন। স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বেবি বাস করছেন বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ প্রথম লেনের একটি ভাড়া বাসায়। স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে প্রেম হয় বন্দর থানা এলাকার আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেনের সাথে।

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা পার্কে বসে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাহমিনাকে ‘সাজানো’ বিয়ে করেন মনির।

ওই মহিলাকে ফুসলিয়ে তার (তাহমিনার) স্বামী প্রবাসী সাইদুল ইসলামের সাথে বিচ্ছেদ ঘটান। এখন দুই কূলই হারিয়েছেন তাহমিনা। পরকীয়া প্রেমিক মনির তাহমিনার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারক মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বরিশালটাইসমকে জানান- তাহমিনার স্বামী প্রবাসে থাকেন। এই সুযোগে মনির হোসেন নামে একজনের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় মনির নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্কে নিয়ে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাহমিনাকে বলে “আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন আমরা স্বামী-স্ত্রী।

সাইদুলকে (প্রথম স্বামী) তুমি ডিভোর্স করো। মনিরের কথামত আসল স্বামীকে তালাক দেয় তাহমিনা। এর পর অনেক দিন তারা এক বাসায় বসবাস করেন। কয়েক দিন পূর্বে রুপাতলী এলাকার একটি বাসায় তাহমিনাকে বেড়াতে নিয়ে যান মনির। সেখান থেকে তাহমিনাকে ফুসলিয়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে যায় প্রতারক মনির হোসেন।’’

এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার তাহমিনা বাদী হয়ে গত ৮ ফেব্র“য়ারি কোতয়ালি থানায় নারী নির্যাতন ও চুরি এই দুটি ধারায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর সার্কুলার রোড জাহানারা মঞ্জিল থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে দুটি স্বর্ণেও লকেট, দুটি হাতের রুলি চাচসহ, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ৬টি স্বর্ণের আংটি, দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।’’