বরগুনার আমতলীতে বাস শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মহাসড়কে থ্রি হুইলার, নসিমন, করিমন এবং ভটভটি চলাচল বন্ধের দাবিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সব রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
যে কারণে কুয়াকাটা থেকে বরগুনার আমতলী হয়ে পটুয়াখালী এবং পটুয়াখালী থেকে বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে ভোগান্তিতে পড়েছে বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখি আটটি রুট ও পটুয়াখালী থেকে কলাপাড়া, কুয়াকাটা, গলাচিপাসহ বেশ কয়েকটি রুটের যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে আসা কুয়াকাটাগামী পর্যটক হাবিবুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীতে এসেছিলেন কুয়াকাটা যাবার জন্য। এসে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ।
অন্যদিকে- দূর-দূরান্ত থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে আসা পিকনিকের বাসগুলো বরিশালের ওই রুটে ধর্মঘটের কথা শুনে পড়ছেন বিপাকে। অনেকেই তাদের গন্তব্য পরিবর্তন করে চলে গেছেন অন্যত্র। এছাড়া ধর্মঘটের কারণে অনেকটাই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ছে কুয়াকাটা।
কুয়াকায়াটার একাধিক ব্যবসায়ি জানিয়েছেন- বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কিছু পর্যটক আটকা পড়ে গেছেন। তবে বেশিরভাগই বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। যারা রয়েছেন তার শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকে কুয়াকাটা ত্যাগ করবেন।
পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন বরিশালটাইমসকে জানান- সরকার নির্দেশিত যানবাহন ছাড়া মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। আর তাদের শ্রমিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
কিন্তু ধর্মঘটের প্রথমদিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ধর্মঘট চলমানই থাকছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হলেও লাভ হচ্ছে না। কারণ ধর্মঘটের মূল কারণ বরগুনার আমতলীতে হয়েছে। এজন্য বরগুনার জেলা প্রশাসনকেই উদ্যোগী হওয়া দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।”
অথবা ধর্মঘটের আওতায় বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা রয়েছে, তাই বিভাগীয় কমিশনার নয়তো ডিআইজি পারেন এই সমাধান দিতে।
যাত্রীদের কষ্ট দেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই মালিক-শ্রমিকদের। দাবি মেনে নিলে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন।
উল্লেখ্য- গত ১২ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলী চৌরাস্তায় বাস শ্রমিক ও থ্রি হুইলার চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হলে বাস শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে পটুয়াখালী, বরগুনা ও বরিশাল বাস মালিক সমিতি বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।