ঝালকাঠি: বরিশাল বাস শ্রমিকদের হামলা-গাড়ী ভাংচুর ও ৫টি গাড়ী আটকে রাখার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে ঝালকাঠি বাস শ্রমিকদের ডাকে জেলার ১৪টি রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এ ধর্মঘট ডাক দেয়ায় এসব রুটের শতশত যাত্রী চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে নিরুপায় যাত্রীরা বিকল্প মাধ্যমে কয়েকগুন বেশী ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে বলে ভূক্তভুগী সাধারন যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। এ অবস্থা নিরশন ও যাত্রীবাহী গাড়ী পুনরায় চলাচল শুরু করার লক্ষে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা অব্যহত রেখেছে বলে জানা গেছে।

 
ঝালকাঠি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক শহিদ সিকদার জানায়, গতকাল রবি ও সোমবার সকালে বরিশালের রুপাতলী ষ্টান্ডের বাস শ্রমিকরা দুদফায় তাদের উপর হামলা চালায় ও বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় বরিশালের বাস শ্রমিকদের হামলায় ঝালকাঠি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক সহ ১০/১২ জন আহত হয়। তাছাড়া বরিশালের বাস শ্রমিকরা রুপাতলী ষ্টান্ডে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির ৫টি গাড়ী জোরপূর্বক আটকে রাখে বলে আহত শ্রমিকরা জানায়।
এঘটনার প্রতিবাদে ঝালকাঠি বাস শ্রমিকরা তাদের জীবনের নিরাপত্ত সহ হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর বিচার দাবি করেন ও ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ ১৪ রুটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। আহত শ্রমিকরা আরো জানায়, হামলার পরে আহত কয়েকজন শ্রমিক বরিশাল বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক শিপনের কাছে অভিযোগ করলেও তিনি কোন প্রতিকার না করে তাদের পক্ষের শ্রমিকদের উস্কে দিয়েছেন। তাই বরিশাল বাস শ্রমিক ইউনিয়নের এধরনের সন্ত্রসী কর্মকান্ডের কারনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে  তারা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানায়, সাধারন শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে তাদের দিয়ে তো গাড়ী চলাচল করানো সম্ভব নয়। তাই তারা ধর্মঘট ডাকার কারনে সাধারন যাত্রীদের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বরিশাল বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে তারা আলোচনা করছেন। শিগ্রই সমস্যার সমাধান হলে গাড়ী চলাচল শুরু হবে।