নলছিটি উপজেলার সেই সন্ত্রাস রেজাউল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঝালকাঠীর আদালতে আরও দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুইটি আমলে নিয়ে একটি সমন ও অন্যটিতে কারন দর্শানোর দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম কবির হোসেনের আদালতে নলছিটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মু. মনিরুজ্জামান মুনিরের দায়ের করা ১০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা (সি.আর-৪৭/১৭) আমলে নিয়ে মঙ্গলবার বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
অন্যদিকে সাংবাদিকের জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে ঝালকাঠীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদের আদালতে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মাওলা শান্তর দায়ের করা মামলায় (এম.পি-১৪৬/১৭) বিচারক রেজাউলসহ অন্যান্য আসামীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট, স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অপপ্রচার, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগে সাংবাদিক মুনিরুজ্জামান মুনির সোমবার ঝালকাঠীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই আদালতের বিচারক এইচএম কবির হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে রেজাউল চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুমী আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
অপরদিকে বখাটের রেজাউলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকির অভিযোগে সোমবার ঝালকাঠীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন নারী অধিকার আন্দোলন সোসাইটির বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী সাংবাদিক গোলাম মাওলা শান্ত।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজাউল গত ৬ মার্চ তার দলবল নিয়ে নলছিটির বাইপাস সড়ক এলাকায় বাদীসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে খুন-জখমের হুমকি দেয়। এরপর প্রতিনিয়ত রেজাউল বাহিনীর ক্যাডাররা ওই সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে আসছে।’’
রেজাউলের স্ত্রী সুমী আক্তার ওই সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটানোর পায়তারা করছে। এ ঘটনায় রেজাউলসহ ৫জনকে আসামী করে বাদীর দায়ের করা মামলায় আদালতের বিচারক বুলবুল আহমেদ আসামীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।’’
প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার সাংবাদিকের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করতে গিয়ে ফেঁসে যান বখাটে রেজাউল। আদালতে উপস্থাপিত ভিডিও চিত্র দেখে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এইচএম কবির হোসেন বাদী হয়ে রেজাউলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা (সি.আর-৪১/১৭) দায়ের করেন।’’