দেশে ক্রমাগত জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খোদ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত বিষয় নিয়ে। সম্প্রতি বিভাগীয় শহরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের পর এবার ঘোষণা এসেছে আদালতপাড়ায় সতর্কতা জারির। পাশাপাশি আদালত সংশ্লিষ্ট এজলাস, বিচারকদের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বিক ব্যবস্থা দানের। গত ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের প্রেরিত এক চিঠিতে বরিশাল আদালতকে নিরাপদ রাখতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
অবশ্য ওই চিঠিতে দেশের সকল আদালতগুলোর নিরাপত্তার কথাও বলা হয়। যে বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যা রাতে বরিশাল জেলা জজ কোর্টের নাজির এসএম রেজাউল করিম নিশ্চিত করেছেন। তবে লিখিত কোন নির্দেশ না পেলেও মৌখিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের নির্দেশনা শুনেছেন বলে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে তিনি অবহিত করেছেন।
সূত্রমতে, সাম্প্রতিকালে দেশের সীতাকুন্ড ও আশকোনায় জঙ্গি আত্মঘাতি হওয়ার পর বরিশাল বিভাগীয় শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এরপর সিলেটে জঙ্গি বিরোধী অভিযান শুরু হওয়া মাত্রই আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদারের এই ঘোষণা আসলো। বিশেষ করে জঙ্গিরা আদালতের নথিপত্র বা বড় ধরণের হামলার পরিকল্পনা নিতে পারে এমন ভাবনায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের প্রেরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে দেশের প্রত্যেক আদালত অঙ্গন, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিচারপতি এসকে সিনহা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। যে কারণে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এই উদ্বেগের বিষয়টি তিনি অবহিত করেছেন। পাশাপাশি আদালত এবং আদালত সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষায় পুলিশের উচ্চ মহলে সুপারিশ রেখেছেন।
নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই আদেশ আদালতে আসার পরপরই পুলিশও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। যে কারণে সম্প্রতি আদালতকে নিরাপদ রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। তাছাড়া রাতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখতে দেখা গেছে। বরিশাল পুলিশের শীর্ষমহল বলছে, আদালতপাড়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়জিত রয়েছে।”