শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোডম্যাপে থাকা বাংলাদেশে জঙ্গী, জলদস্যু বা সন্ত্রাসীদের কোন ঠাঁই হবে না। আমরা কঠোর হস্তে এদের দমন করবো। দেশকে নিরাপদ রাখতে আমাদের যা করণীয় তা আমরা অববশ্যই করো। সুন্দরবনের জলদস্যু ‘রাজু বাহিনী’র আত্মসমার্পণ অনুষ্ঠানে বরিশাল র্যাব-৮ কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় র্যাব-৮ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে আত্মসমার্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাস্ত্রমন্ত্রী আরও বলেন- তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশকে নিরাপদ রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এজন্য জঙ্গী আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড একের পর এক নির্মূল করে দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তারা কেবল নির্মূল নয়, যারা ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমাপর্ণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় তাদের পুর্নবাসনে আর্থিক ও আইনী সহায়তা আমরা দিয়ে যাচ্ছি।
যার ধারাবাহিকতায় আজকেও আমরা এখানে আত্মসমার্পণকারী জলদস্যু ও তাদের অনুপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।
মন্ত্রী হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন- এই সুযোগ পেয়েও যেসব জলদস্যু বা বনদস্যু তাদের অপরাধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাবেন তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, র্যাব পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এছাড়াও বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, নগর পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন।”
অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ‘ছোট রাজু বাহিনী’র প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে ছোট রাজুসহ তার ১৫ সদস্য নিয়ে আত্মসমার্পনকালে ২১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২৩৭ রাউন্ড গুলি জমা দেন।”