বরিশালের উজিরপুরে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শালিশীর নামে আপোষ মিমাংশার চেষ্টা করে ধর্ষনকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় প্রভাবশালী মহল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধামসর গ্রামের যোসেফ গাইন এর বখাটে পুত্র রাজু গাইন ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি ধামাপাচা দিতে ওই দিন সন্ধ্যায় শালীশদার পান্নু হাওলাদার, ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ চার্জের সম্পাদক তপন বৈদ্য, সমীর গাইন, গাছ ব্যবসায়ী জাকির হাওলাদার শালীশীতে বসে ধর্ষনকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অপরদিকে নির্যাতিত মেয়েকে অপবাধ দিয়ে নষ্টা মেয়ে বলে গ্রাম ছাড়ার হুকমী দেয়। এলাকাসূত্রে জানা যায় বখাটে রাজু প্রায়ই স্কুলে যাওয়া আশার পথে ওই ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করত।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় ২৩ তারিখ ভোর রাতে প্রকৃতির ডাকে ছাত্রী ঘর হইতে বাহিরে গেলে পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী রাজু জোড় পূর্বক মুখ চেপে বাড়ীর পাশে মানব দেউড়ীর বাগানে নিয়ে যায়। বাগানে ধর্ষনের চেষ্টা করে । ছাত্রীর ডাক-চিৎকারে লিচু পাহারা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে পাশের বাড়ী জর্জ হালদার ও ভূষন হালদার ঘটনাস্থল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকার প্রভাবশালীরা আপোষ মিমাংশা করার জন্য ছাত্রীর বাড়ীতে বৈঠকে বসে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনা জানতে পেরে উজিরপুর মডেল থানার এস.আই তৌহিদুজ্জামান উপস্থিত হয়ে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ২৪ এপ্রিল মেয়ের পিতা সুরঞ্জন করাতী বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় রাজু গাইনকে প্রধান আসামী করে এবং শালীশীর নামে নির্যাতিত পরিবারকে হুমকীর অভিযোগ এনে পান্নু হাওলাদার, গাছ ব্যাপারী জাকির হাওলাদার, সমীর গাইন, চার্জের সম্পাদক তপন বৈদ্যকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান কোন ঘটনা ঘটলেই উল্লেখিত শালীশদাররা টাকা পয়সার বিনিময়ে মানুষকে জিম্মি করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।