সম্প্রতি অনুমোদিত পটুয়াখালির দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির অন্তত ১২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীরা ঘোষিত ওই কমিটিকে বাতিলের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন। ফলে জেলা ছাত্রলীগে ওই বিতর্কিত কমিটি নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পদত্যাগকারী শুক্রবার তারাসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী দুমকি নসীব সিনেমা হল চত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি।’

সেই সাথে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সকাল ৯টায় দুমকি নসীব সিনেমা হল চত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে নেতাকর্মীরা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে চার ঘণ্টা ধরে সড়কে আটকে পড়ে শত শত যানবাহন।

ফলে যানবাহনে চলাচলরত যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে পায়ে হেঁটে। অবশ্য বেলা ১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাময়িকভাবে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ স্থগিত করলেও তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে- বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার একাধিক স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে পদত্যাগকারী ১২ নেতাসহ অসংখ্যা নেতাকর্মী।

পদত্যাগকারীদের দাবি- ঘোষিত ওই কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, অযোগ্য, চাকুরীজীবী এবং ছাত্রদল-শিবির নেতাদের স্থান দেয়া হয়েছে। তাই কমিটি বাতিলে জেলার নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে উপজেলার নেতারা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা জানান- বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুমকি উপজেলা শাখার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে আনিসুজ্জামান সোহাগ মৃধা সভাপতি এবং মো. সোহেল শরীফকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।’

কিন্তু জেলার নেতার এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না উপজেলার নেতাকর্মীরা। যে কারণে ওই কমিটি বাতিল চেয়ে তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার বরিশালটাইমসকে জানান- ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিতে অছাত্র, ছাত্রদল, শিবিরসহ চাকুরিজীবি স্থান পাওয়ার বিষয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেয়ায় আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।’