নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন- সুষ্ঠু আইনানুগ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। এই নির্বাচন করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে। প্রয়োজনে একটি নির্বাচন ১০ বার করতে চাই। দেখতে চাই ভোটররা যেন তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারেন।

আইনানুগ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে কোন কম্প্রোমাইজ করব না। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৭ উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো.আলীমুজ্জামান, বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সাদিকুর রহমান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক। এ সময় কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ এবং মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।’

নির্বাচন কমিশনার মো.রফিকুল ইসলাম বলেন- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লোক দেখানের জন্য নয়, ব্যবহারের জন্য।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের যথাযথ ব্যবহার করতে কোন কার্পন্য করবেন না। জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেয়া আছে। কাউকে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবেন। আপনারা কারও লোক নন। আপনারা সবার বিপক্ষে। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের পক্ষের লোক।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক কথা শোনে না এমন প্রশ্ন নিজে তুলে তিনি আরও বলেন, এদের কথা শোনানোর কৌশল জানতে হবে। কেউ যথাযথ দায়িত্ব পালন না করলে তাদের নিরবতার জন্য কোন অঘটন ঘটে তাহলে দায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।’’

পরে নির্বাচন কমিশনার লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ শোনেন এবং এসব প্রতিকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।’’

আগামী ১৬ এপ্রিল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নের নির্বাচন এবং টিয়াখালী ইউনিয়নের একটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’’