পটুয়াখালীর বাউফলে মসজিদে নামাজ পরতে আসা মুসুল্লিদের সামনে তিন নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদেরকে বিবস্ত্র করে, মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মারানো হয়েছে। এক অন্তঃসত্বা নারীর এক পা ও অপর এক নারীর এক হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন- দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের খালেক হাওলাদারের সাথে প্রতিবেশি মফিজ মোল্লার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে খালেক হাওলাদার বাড়ির সামনে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ মফিজ মোল্লার ছেলে রিয়াজ, সজিব, সোহাগ, মিলন ও রাইসুল তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।

এসময় তার ডাকচিৎকারে স্ত্রী রেনু বেগম, ভাইর মেয়ে মাহিনুর ও অন্তঃসত্বা জেসমিন এগিয়ে এলে তাদেরকে এলোপাতারি ভাবে পেটানো হয়। একপর্যায়ে টেনে হেচরে তাদের পরনে কাপড় ছিড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলে। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মারানো হয়। এতে মাহিনুর বেগমের বাম হাত ও জেসমিনের বাম পা ভেঙে যায়।

ওই মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও ভয়ে তারা কেউ প্রতিবাদ করেননি।

আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’