চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চরণ করে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান বলেছেন- আসন্ন মাহে রমজান ও ঈদ উল ফিতরে বিভাগের কোথাও চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। এমনকি যে চাঁদাবাজি করবে এবং দিবে তাদের উভয়কেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১২টার দিকে পরিবহন নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।’’

বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি শেখ মারুফ হাসান বলেন- এবার চাঁদাবাজি করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সেই সাথে দেখতে চাই চাঁদাবাজদের পক্ষে করা আসে।

সভায় আসন্ন মাহে রমজান এবং ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র্র করে জনগণের নিরাপত্তা ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ ব্যবসায়ীদের অসাধুতা রোধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়।

সভায় ভোলার এক ব্যবসায়ী নেতা রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র থেকে নজরদারী জোরদার করার দাবি জানান। এ ছাড়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে পণ্যমূল্য নিয়ে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করার তাগিদ দেন তিনি।

সড়ক পরিবহনের এক নেতা বলেন- ঈদ এলেই মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ করাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

লঞ্চ মালিক সমিতির এক নেতা বলেন- প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবের সময় নৌপথে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে যায়। এগুলো রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের অজুহাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একই সময় সবগুলো লঞ্চকে এক সাথে পল্টুন ত্যাগ করাতে বাধ্য করেন। এতে যে কোন সময় মাঝ নদীতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করেন তারা।’’

সভায় প্রধান অতিথি জনদুর্ভোগ লাঘবে এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন, বিভাগের ৬ জেলার পুলিশ সুপার এবং ব্যবসায়ী ও পরিবহন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।’’