বরিশাল শহর লাগোয়া কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে চরকাউয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসাসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। ওই সময় ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে গিয়ে নদীতে পড়ে চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার গভীর রাত (০৬ আগস্ট) একটার দিকে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ফেরীঘাটে এই ভাঙন শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ভাঙন শুরুর আধাঘণ্টার মাথায় অন্তত ৩০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে চলে যায়। ওই জমিতে থাকা জৈনপুরী পীর সাহেবের খানকা ও আহম্মদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশের ভবন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়। সেই সাথে নদীর পাড়ে থাকা দুলালের দুটি মুরগীর দোকান, হায়দারের মাংসের দোকান, হীরা হাওদারের দোকান, আবু মিয়ার মুদী দোকান এবং সোহেলের কনফেকশনারীসহ অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠনও নদীতে হারিয়ে গেছে।

ফলে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ি ও বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে তাদের স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সেই মালামাল সরাতে গিয়েও নদীতে পড়ে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, সাজ্জাদ, কামরুল এবং ওহি নামের চারজন আহত হয়েছেন।

এমতাবস্থায় নদী থেকে ৫০ ফুট দূরত্বে চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বাসস্ট্যান্ডটি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর (সাহেবেরহাট) থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল সরিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে।

রাত ৩ টারদিকে ভাঙন অব্যহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হালিম বলেন, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আশেপাশের সকল মানুষকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও নদী তীর লাগোয়া রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’’