বরিশালের মুলাদী উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর ও ছবিপুরে বিএনপির দুটি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া চরলক্ষ্মীপুর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের খবরও মিলেছে। সেই সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (০৬ আগস্ট) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক নুরুল আলম রাজু বরিশালটাইমসকে জানান, পূর্বঘোষিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে মুলাদী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে যান।
তবে এর আগেই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সফর ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পণ্ড করতে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ, হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে চরলক্ষ্মীপুর বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। হামলায় নেতৃত্ব দেন মুলাদী সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান। এতে অংশ নেন যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উত্তর জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক নুরুল আলম রাজু আরও বরিশালটাইমসকে জানান, সেখান থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ছবিপুর ইউনিয়নে যান। সেখানেও সেলিমা রহমানের সফর ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম পণ্ড করতে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় তারা বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। দুটি হামলায় বিএনপির অন্তত ৫ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মুলাদী উপজেলা অওয়ামী লীগের সভাপতি আ. বারী বরিশালটাইমসকে জানান, তিনি বুধবার সকালে ঢাকা থেকে এলাকায় এসেছেন। এ ধরনের হামলার খবর তার জানা নেই।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী উপজেলা অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান খান মিঠু বরিশালটাইমসকে জানান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান মিথ্যাচার করছেন। হামলা ভাঙচুরের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি।
মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, বিএনপির কর্মসূচি কেন্দ্র করে উপজেলার দুই একটি জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে হামলা ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে তার জানা নেই।’’