বরিশাল, খুলনা ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলে ৬১টি সেতু নির্মাণে চুক্তি সই করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্র“ভমেন্ট প্রজেক্ট নামে তিনটি প্যাকেজে এসব সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় তেজগাঁও সড়ক ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে এ চুক্তি সইকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে উৎসর্গ বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্র“ভমেন্ট প্রকল্পে জাইকা দেবে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট টাকার যোগান দেবে সরকার। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ৪২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড ও ডিএনকো লিমিটেডের মধ্যে এ প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজ চুক্তি সই করা হয়।
বরিশাল অঞ্চলে নয়টি। তার মধ্যে বরিশালে ৭টি, ঝালকাঠিতে একটি ও পিরোজপুরে একটি।
খুলনা অঞ্চলে প্যাকেজের আওতায় ৯টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে কুষ্টিয়ায় তিনটি, ঝিনাইদহে দু’টি, যশোরে একটি, নড়াইলে একটি এবং বাগেরহাটে দু’টি সেতু নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ অঞ্চলে সাতটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ফরিদপুরে ছয়টি এবং মাদারীপুরে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে ৬১টি সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪ হাজার ৭শ মিটার।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ৪২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। আগামী ২২ মাসের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ শেষ হবে।
অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম মাসুদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ডেনকোর এসএম খোরশেদ আলম চুক্তিতে সই করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার।
ঢাকায় চলমান সড়কের উল্টোপথে অভিযানকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে জানান, এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সংগ্রাম করছেন তিনি।
দুদক মহাপরিচালক ও পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগে এবার রং সাইডে চলার বিরুদ্ধে আন্দোলন বেশ সাড়া জাগানো গেছে। এটি যানজট নিরসনে শুভ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’