আল আমিন বাহিনীর হামলায় আক্রান্ত মো. জাহাঙ্গীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর স্টেডিয়াম লাগোয়া ‘বঙ্গবন্ধু কলোনী’র ত্রাস আল আমিন বাহিনী আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে বাহিনীপ্রধান আল আমিনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা পুলিশের এএসআই পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার মামলায় অভিযুক্ত থাকলেও এবার আরেকটি লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম দিলো। গত ২৪ সেপ্টম্বর ১১ নং ওয়ার্ডস্থ ওই কলোনীর সোহরাব পালোয়ানের পঞ্চাশোর্ধ্ব স্ত্রী মনি বেগমসহ ছেলে-স্বজনদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ কল্পে মনি বেগমকে মামলার পরামর্শ দেন। সরলমনা ওই নারী এতে আশ্বস্ত হয়ে ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলার আবেদন করেন, যাতে বাহিনীপ্রধান আল আমিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ আছে।

এই অভিযোগ থানায় জমা দেওয়ার একদিন পর অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, অভিযোগটি পুলিশের এসআই মর্যাদার এক কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তিনি রিপোর্ট করলেই মনি বেগমের অভিযোগটি মামলায় রুপ দেওয়া হবে।

কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, ওই রোমহর্ষক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ৫ দিনেও ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। অভিযোগকারী নারী গত এই ৫ দিনে অন্তত দুইবার করে থানায় এসেছেন এবং তিনি প্রতিবারই ওসিসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে আল আমিন বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আকুতি জানিয়েছেন। স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করতে এবং ভুক্তভোগীকে ন্যায় দিতে থানা পুলিশের গড়িমসি কেন, এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যদিও কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই আরাফাত রহমান হাসান বলছেন, নারীর অভিযোগ তদন্ত করে এজাহার করার একটি প্রক্রিয়া চলছে, সেক্ষেত্রে আজ অথবা কাল নথিভুক্ত করার সম্ভবনা রয়েছে।

কয়েকদিনের কালক্ষেপনের কারণে পুলিশের এমন অভয়ে এখন আর ভরসা রাখতে পারছেন না ভুক্তভোগী মনি বেগম। তার অভিযোগ, তাদের ওপর হামলাকারী আল আমিন স্থানীয় ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ইতিপূর্বে তারা এলাকায় অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্ম দিলেও পুলিশ প্রশাসন কার্যকরী কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি, যার দরুন এই বাহিনী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একের পর লোমহর্ষক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর আল আমিন বাহিনীর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন মনি বেগমসহ তার পুরো পরিবার।

মনি বেগম বরিশালটাইমসকে জানান, আল আমিন এবং তার বাহিনীর সদস্য মো. বাপ্পি (২৮), মো. রাব্বি (২৫), মো. রাকিব (২৬), মো. হৃদয় (২৪), রুহুল আমিন (৩০), আজিজুল (২৫), মো. জালাল জোমাদ্দার (৫০) এবং মো. জসীম হাওলাদার (৩০)সহ আরও ১০ থেকে ১২ জন তার ছেলে সোহেল পালোনায়ানের দোকানে প্রায়শই চা-সিগারেট বাকিতে খেতো। কিন্তু এই টাকা চাইলে তারা হুমকি-ধামকি দিতো এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করতো। এনিয়ে আল আমিন এবং তার বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা দোকানি হোসেলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ও সুযোগ খুঁজতেছিল কী ভাবে বাগে পাওয়া যায়।

নারী তার বর্ণিত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আল আমিন ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া তিনটার দিকে মো. বাপ্পি, মো. রাব্বি, মো. রাকিব, মো. হৃদয়, রুহুল আমিন, আজিজুল, মো. জালাল জোমাদ্দার ও মো. জসীম হাওলাদারসহ ১৫ থেকে ১৬ জন নিয়ে তাদের দোকানের সম্মুখে আরেক ছেলে রুবেল পালোয়ানকে আটকায় এবং মারধর শুরু করে দেয়। এসময় আল আমিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে রুবেলের মাথায় কোপ দেয়, কিন্তু রুবেল তার মাথা সরিয়ে ফেলায় কোপটি আংশিক চোখের কোনো লাগে। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়, এখবর পেয়ে তার মা মনি বেগম এবং ভাগিনা মো. জাহাঙ্গীর ছুটে এসে তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। তখন আল আমিন এবং তার বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা জাহাঙ্গীরের পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়াসহ পঞ্চশোর্ধ্ব অসুস্থ মনি বেগমকে প্রকাশ্যে মারধর করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা স্থানীয়দের অতিরিক্ত উপস্থিতি এবং পুলিশ আসার আগমুহূর্তে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা আহত রুবেল এবং জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মনি বেগম জানান, ঘটনার পর কোতয়ালি মডেল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিলেন এবং তিনি হামলার কারণসহ কারা হামলা করেছে তা লিপিবদ্ধ করেন। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার আধ্যপান্ত শুনে থানায় এজাহার দেওয়ার পরামর্শ দেন, মনি বেগমও তাই করেছিলেন ঘটনার দিনই বাহিনী প্রধান আল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ৫ দিনেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আল আমিন বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি-ধামকি দেয়, দিচ্ছে।

মনি বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন থানায় এজাহার জমা দিয়ে তিনি ওসি আনোয়ার হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের আর্জি জানান। তখন ওসি তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণের অভয় দিয়েছেন। এবং দুদিন অপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল বিকেল দুই বেলা থানায় যাচ্ছেন, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং মামলা এই নথিভুক্ত হবে, হচ্ছে বলে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবর রহমানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আল আমিন বঙ্গবন্ধু কলোনীতে অপরাধের একটি স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি বাহিনী তৈরি করে আল আমিন পুরো কলোনীসহ চাঁদমারী এবং আশপাশ এলাকাসমূহে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তাদের অনাচার-অত্যাচারে কলোনীবাসী ওষ্ঠাগত হলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস দেখাচ্ছেন না ইজ্জত হারানোর ভয়ে।

সূত্র জানায়, শুধু মনি বেগম নন, ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন স্থানীয় আরও বহু মানুষ। এমনকি খোদ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে কোপানোর অভিযোগও আছে আল আমিনের বিরুদ্ধে। গত বছরে আল আমিন বাহিনী স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান এবং তার ছেলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই টাকা না পেয়ে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আল আমিন অন্তত ১৫ থেকে ২০ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ধারালো অস্ত্রসমেত ওই ব্যক্তির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করতে অগ্রসর হয়। তখন কামরুলের স্ত্রী মোসা. ফরিদা বেগম প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। এসময় যুবক আলামিনসহ তার বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা নারীসহ বেশ কয়েকজনকে মারধরসহ কুপিয়ে জখম করে। এই খবর পেয়ে নগর বিশেষ শাখার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করলে আল আমিন বাহিনী এ পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে। প্রকাশ্য রাস্তায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ফেলে কোপানোর এই চিত্র স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা প্রত্যক্ষ করলেও কেউ তখন ভয়ে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করার সাহস দেখায়নি। ফলে অনেকটা সিনেমেটিক স্টাইলে হামলা চালিয়ে মারধরসহ কুপিয়ে জখম করে চলে যায় আলামিন বাহিনী।

চাঁদমারীর সেই সশস্ত্র সন্ত্রাসের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছিল। প্রতিটি মামলায় কাউন্সিলর মজিবরের ক্যাডার আলামিনসহ তার বাহিনীর ২৫ থেকে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে কোপানোর ঘটনায় এই আলামিনসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়। এবং ব্যবসায়ীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের মামলাটিতেও আলামিনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এমনকি সাংবাদিক জলিল আকনের মামলাটিতেও আলামিন এবং কাউন্সিলরের ভাই ইমনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। প্রতিটি মামলায় ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬, ১৪৩ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে আল আমিনসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ কর্মকর্তাকে কোপানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানসহ আরও বেশকিছু ধারায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়।

পুলিশ-সাংবাদিকসহ নারী-পুরুষ কোপানোর সেই ভয়াত্মক সন্ত্রাসের ঘটনায় আল আমিনসহ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যখন ৫টির বেশি মামলা বিচারাধীন, ঠিক তখনই নতুন করে ২৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কলোনীতে রক্তপাত ঘটিয়ে আলোচনায় আসলেন আল আমিন।

কিন্তু সন্ত্রাসের ঘটনায় আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন তা আমলে নিচ্ছে না, এনিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেছে স্থানীয়রা। কারও কারও দাবি, আল আমিন অঘটনের জন্ম দিয়ে কাউন্সিলর মজিবরের স্মরণাপন্ন হয়। এবং কাউন্সিলরও তাকে আগলে রাখাসহ আইনি ফাঁক-ফোকড় থেকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করেন। ক্ষমতাধর ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকার দরুন আল আমিন একের পর এক অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।

তবে গত বছর পুলিশ সাংবাদিকসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় তাকে কারাগারে যেতে হয়। তিনটি মামলায় সে বেশকিছু দিন হাজতবাস করেছিলেন। কিন্তু মোটেও শোধরায়নি আল আমিন, জামিনে মুক্ত হয়ে ফের বঙ্গবন্ধু কলোনীতে চালাতে থাকে ত্রাস, যার সর্বশেষ শিকার মনি বেগম এবং তার ছেলেসহ স্বজনেরা।

এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মামলা এজাহার না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মনি বেগমের পরিবার। মনি বেগম অভিযোগ করেন, পুলিশ মামলাতো নেয়নি, বরং অভিযোগ করে আরও বিপদে আছি। এখন আল আমিন তার সদলবলে আবারও মারধর করাসহ খুন-জখমের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি কলোনী ছেড়েও চলে যেতে বলছে, এতে পুরো পরিবার নিয়ে মনি বেগম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছেন।

আল আমিন বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ভুক্তভোগীর নারীর পাশে পুলিশের দাঁড়াতে অনাগ্রহ কেনো, এমন প্রশ্নে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই আরাফাত রহমান হাসানের ভাষ্য হচ্ছে, তদন্তকাজ শেষ হয়েছে, যে কোনো সময় এজাহারটি নথিভুক্ত হবে। সেই সাথে আসামিদের ধরতে পুলিশ উদ্যোগ নেবে। যদিও কোতয়ালি থানা পুলিশের এমন অভয়ে ভরসা রাখতে পারছেন না অভিযোগকারী মনি বেগম।

ঘটনার সার-সংক্ষেপ বর্ণনা দিয়ে বিষয়টি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানানো হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। এবং কয়েকদিন বরিশালের বাইরে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজই কর্মস্থলে এসেছেন। রাতেই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেবেন এবং ভুক্তভোগী যাতে ন্যায় পান সেই ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।

শীর্ষ পুলিশ কর্তার এমন বক্তব্য কিছুটা হলেও ভুক্তভোগী মনি বেগমের মনে ভরসা জুগিয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার স্যার সৎ এবং আদর্শবান মানুষ, অন্তত এবার বিমুখ হওয়ার সম্ভবনা কম রয়েছে।

মনি বেগমের এমন অনুমান অমূলক নয়, কারণ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং তা পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম কোনো মাধ্যম জেনেছেন, কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ করেননি তার উদাহরণ খুব কম রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধারনা মেলে যে বঙ্গবন্ধু কলোনীতে আল আমিন বাহিনীর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশের খড়গ আসছে।’