তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শামিমা আকতারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঘর ছেড়েছেন স্বামী আব্দুল মোতালেব। প্রণয়ের সূত্র ধরে বিয়ে হলেও শেষাবধি ৪ মাসের শিশু পুত্রকে দূরে ঠেলে বিয়ে বিচ্ছেদে বাধ্য হয়েছেন অসহায় স্বামী। বনিবনা না হওয়ায় আব্দুল মোতালেব সস্প্রতি ১৩ অক্টোবর স্ত্রী শামিমাকে তালাকের নোটিশ প্রদান করেন। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে পরকীয়া ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির অভিযোগও করেছেন।
জানা গেছে, আব্দুল মোতালেবের সঙ্গে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারী ভোলার চরফ্যাশনের কুলসুমবাগের আবু জাহেরের কন্যা শামিমা আক্তারের বিয়ে হয়। মোতালেব মুলাদীতে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত থাকায় বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে চলে আসেন। ভাড়া বাসায় দুজনে সংসার জীবন শুরু করে। এর কিছুদিন পর নানা কারণে স্ত্রী-স্বামীর মধ্যে সন্দেহ ও মতের অমিল দেখা দেয়। সম্পর্কের তিক্ততার কারণে একপর্যায়ে স্ত্রী শামিমা অভিযোগ আর মিথ্যা মামলায় দুর্বিসহ করে তোলে স্বামী আব্দুল মোতালেবের জীবন। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী যৌতুকের অভিযোগ তুলে আদালতের মামলা করলেও শেষাবধি তা খারিজ হয়ে যায়।
মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করত শামিমা। মা-বাবাসহ পরিবারের কারো সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকুক তা সে কখনোই চাইতো না। আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তাদের নালিশ দিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করে বেড়াত। গত সপ্তাহে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী কাওসার হোসাইনের মাধ্যমে স্ত্রীর দেনমোহর ও সন্তানের ভরণপোষণের টাকা গ্রহণ করতে শামিমার চরফ্যাশনের পৈত্রিক ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শামিমা আক্তার তালাকের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি বাবার বাড়ি চরফ্যাশনে থাকায় গত ১৭ অক্টোবর মোতালেব মুলাদীর বাসা থেকে পালিয়ে যায়। বাসায় এসে তাকে ফোন দিলে বাসায় আসবে না বলে জানায়। বিষয়টি মুলাদীর ফারিয়ার নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা বৈঠকে বসেন। মোতালেব ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী বৈঠকে ফয়সালা হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তিনি কারো ফোন রিসিভ করছেন না।