নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলার চরফ্যাশনে বঙ্গোপসাগর মোহনায় ১৩ জেলেসহ মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারে থাকা ৫ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৮ জেলে। শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের মোহনায় শিবচর নামক স্থানে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, নূরাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সেলিমের ছেলে নুর আলম (৩০), মো. হোসেনের ছেলে কবির (৩২), ৯নং ওয়ার্ডের শাহে আলম মোল্লা (৫০), আহাম্মেদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নুরুল হক মাতাব্বরের ছেলে মো. হোসেন মাঝি (৫০), ৯নং ওয়ার্ডের তাজুল মালের ছেলে সবুজ (৪০), গনি মৃধার ছেলে মো. বেল্লাল (৫০), জলিল মালের ছেলে ছাদেক মাল (৬০) ও শাহে আলমের ছেলে জাহাঙ্গির (৪৫)।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার ট্রলারডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলে সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের শুকনাখালি মৎস্য ঘাট থেকে দুলাল চৌকিদারের একটি ধরা জালের ট্রলার নিয়ে ১৩ জেলে মাছ শিকারে সাগর মোহনায় যন।
শুক্রবার রাতে মাছ ধরে ফিরে আসার সময় সাগরের বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১৩ জেলে সাগরে পড়ে যায়। এ সময় কাছাকাছি থাকা অপর একটি ট্রলার এসে ভাসমান অবস্থায় ৫ জেলেকে উদ্ধার করলেও অপর ৮ জেলেকে খুঁজে পায়নি তারা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, আহম্মেদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহসিন মাঝির ছেলে দুলাল মাঝি (৪০), ৯নং ওয়ার্ডের হাশেম মৃধার ছেলে শাহিন (২৫), নূরূবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোশারেফ হোসেনের ছেলে মনির (৩৩), আব্দুর রব মুন্সির ছেলে সুমন (৩৮) এবং ৯নং ওয়ার্ডের হাফেজ আহাম্মদের ছেলে নাজিম (৪৪)। তাদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, গত শুক্রবার মাছ ধরা জালের ট্রলার নিয়ে ১৩ জন জেলে সাগর মোহনার শিবচর এলাকায় মাছ ধরতে যান। শুক্রবার রাতে প্রবল টেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে ৫ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ৮ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া পাঁচ জেলে রাতেই তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের মধ্যে চলছে চরম উৎকণ্ঠা। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, আমরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার করার জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। কোস্ট গার্ড নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করবে বলে আশা করি। এছাড়া স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরাও নিজস্ব ট্রলার দিয়ে নিখোঁজ জেলেদের খুঁজতে বের হয়েছে।