নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়রের বাসভবনে পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া তিন মরদেহ। তবে সেই মরদেহ উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনও কথা বলতে নারাজ। সেনাপ্রধানের ভাষণের পরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ। চলে আনন্দ উল্লাস, সঙ্গে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ। একই সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন থেকে শুরু করে দলীয় কার্যালয় এবং বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন-ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়।
এ থেকে বাদ যায়নি নগরীর ফকিরবাড়ি রোডের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন। সেখানেও আগুন দেওয়ার সঙ্গে চলে ভাঙচুর। দোতলা ভবনটিতে আগুন জ্বলতে থাকে। সে সময় বাড়িসংলগ্ন গ্যারেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ওই ভবনসংলগ্ন সাদেকের অনুসারীদের জন্য গড়ে তোলা তিনতলা উদয়নী ক্লাব।
তিন থেকে চার ঘণ্টা আগুন জ্বলতে থাকায় কেউ বাসভবনের ভেতর প্রবেশ করেননি। তবে অনেকের ধারণা ছিল, বাসার পেছনের গেট দিয়ে সাদিকসহ তার অনুসারীরা পালিয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই বাসায় কিছু লোক প্রবেশ করে। তারা দ্বিতীয় তলায় পুড়ে যাওয়া তিনটি লাশ দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ দেখে কোনোকিছু না বলে চলে যায়। তবে লাশগুলো কাদের তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় লাশের চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) একাধিক কর্মকর্তাকে মোবাইল করা হলে রিসিভ করলেও কোনও কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি এ অবস্থায় তাদের নাম ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। শুধু বলেন, ‘আপনারাই দেখছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই।’