মোঃ জসীম উদ্দিন,বাউফল: সারাদেশের ন্যায় ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে পটুয়াখালীর বাউফল থানার পুলিশ সদস্যরা। এতে থানার পুলিশি কার্যক্রম এখনো সচল হয়নি। তবে, থানায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত দেখা গিয়েছে। কিন্তু থানায় কোনো পুলিশি কার্যক্রম না থাকায় এখনো উদ্বেগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে, উপজেলা জুড়ে প্রতিনিয়ত চলছে নৈরাজ্য, ভাংচুর, লুটপাট, চুরি,ডাকাতি ও হুমকি ধামকির ঘটনা। গত ৬ দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনাসহ দুই শতাধিক বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তাহীনতা, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কাটছে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের।

এদিকে, পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে চলাচল বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা আদান-প্রদানের গাড়ি। এতে করে একধরণের অচলাবস্থা পড়েছে ব্যাংকগুলো। উপজেলার অধিকাংশ এটিএম বুথ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। চেক দিয়েও ব্যাংক থেকে মিলছে না কাঙ্খিত পরিমাণ অর্থ।

দ্রুত পুলিশি কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়ে উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদরা জানান, হিন্দু সম্প্রাদায়ের প্রায় অর্ধশত মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। লুটপাট ও নৈরাজ্যের শিকার বহু মানুষ। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে দুই শতাধিক অভিযোগ পড়েছে বলেও জানান তারা।

এবিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকতারা অফিসিয়ালি কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে তারা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সকল পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে বাউফল থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।