নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকার নবাবগঞ্জে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছামাদ মারা গেছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। নিহত আব্দুস ছামাদ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের ফালু ফকিরের ছেলে। তিনি বান্দুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

নিহতের ভাতিজা আব্দুল হালিম বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে কিছু লোক এসে সামাদ চাচার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তিনি বারান্দায় এসে দেখার চেষ্টা করেন। এ সময় হামলাকারীরা চাচার ওপর হামলা করে। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে আতঙ্কিত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্ডিংয়ের পেছন দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা চলে গেলে চাচাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করি। এক সপ্তাহ আইসিইউতে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। বুধবার ভোরের দিকে তিনি মারা যান।

আব্দুস ছামাদের ছেলে আনোয়ার হোসেন বলেন, গত সাত দিন বাবাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছি। আমার কোনো অভিযোগ নেই। সর্বোত্তম বিচারক মহান আল্লাহ। তিনি এর বিচার করবেন। নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, বর্তমান অবস্থায় পুলিশের সেবা সীমিত। আপাতত জিডি ও অভিযোগ গ্রহণ করছি। তবুও ঘটনার খোঁজ নেওয়া হবে।