নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাগরদী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। পৃথক বিক্ষোভে দুজনের বিরুদ্ধেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়ে। শিক্ষা পরিচালকের অপসারণ চেয়ে বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
এ কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক ও কর্মচারী সমাজ, বরিশাল অঞ্চল। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীদের নিবৃত্ত করেন।
এর আগে সকালে সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে। শিক্ষার পরিচালকের অপসারণ চেয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা দেন- প্রভাষক মাসুম বিল্লাহ, মো. শাহিন, কামরুল হাসান, সাদিয়া আকতার, মিনার মাহমুদ, হাসান বকসি প্রমুখ।
অন্যদিকে সাগদীর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে বক্তৃতা দেন- শিক্ষার্থী তানভীরসহ অন্যরা। শিক্ষার পরিচালকের বিরুদ্ধের সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ৬ বছর যাবত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন একই পদে রয়েছেন।
এ সময় তিনি বিনাকারণে শিক্ষকদের ফাইল আটকে রেখে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানের আগে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিভিন্ন তথ্য চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠান তিনি। এসব তথ্য তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অনেক ছাত্র-শিক্ষককে হয়রানি ও গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাগরদী মাদ্রাসার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের অধিকার হরণ করেছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। আমরা রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে যাব কিন্তু তিনি আমাদের কোনো আইডি কার্ড দেননি। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আছে তা আমরা গণমাধ্যমে বলতে চাই না। আমরা চাই তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় আমি মাদ্রাসা থেকেও বেরিয়ে এসেছি। মাদ্রাসার সভাপতি জেলা প্রশাসক। আমি তার কাছে যাচ্ছি। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমি সেটাই মেনে নিব। শিক্ষার্থীরা বিনা কারণে এসব করছে।