বরিশাল: নৌ-বাহীনির এক কর্মকর্তার কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্বরত ৪ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের আদেশের প্রেক্ষিতে তাদের বিরেুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের ওইদিনই বরিশাল পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবি উজ্জল, নায়েক হাবিব, কনস্টেবল ইমামুল এবং কনস্টেবল মোস্তফা।
সেইসঙ্গে একই অভিযোগে পাসপোর্ট অফিসের এক অফিস সহায়কের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।’
বরিশাল পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, গত রোববার ঢাকাস্থ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রজেক্টের সহকারী ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী নৌ-বাহীনির লে. জাওয়াদ হাবিব চৌধুরী পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশের নায়েক হাবিব তাকে ডাক দেয়। এসময় লে. জাওয়াদ কারণ জানতে চাইলে নায়েক হাবিব জানান, বাড়তি টাকা দিলে তিনি ঝামেলা ছাড়াই (হাবিব) পাসপোর্ট করিয়ে দিতে পারবেন।
কারণ তার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহায়ক মাইনুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং টাকা দিলেই কয়েক দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। এ সময় তার সাথে যোগ দেন সেখানকার দায়িত্বরত এসআই এবি উজ্জল, কনস্টেবল ইমামুল এবং কনস্টেবল মোস্তফা।
যে বিষয়টি লে. জাওয়াদ পরবর্তীতে লিখিতভাবে পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালককে অবহিত করেন। উপ-পরিচালক বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে ওই চার পুলিশ সদস্যকে বরিশাল পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে নতুন সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু সাঈদ জানান, লিখিত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ চার পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক সুমনা শাওন শারমীন জানান, অফিস সহায়ক মাইনুলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠায় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।