বাংলাদেশ তার গৌরবের ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ কৃষ্টি নিয়ে অহংকার করতে পারে। তবে ব্লগার, বিদেশি নাগরিক, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের সদস্য, ধর্মীয় বা সংখ্যালঘুসহ দেশের নিরীহ মানুষের উপর হামলা বাংলাদেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতার প্রতি এক ধরনের কটাক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

 

মঙ্গলবার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো বাণীতে ব্রিটিশ অ্যালিসন বলেন, গোঁড়ামী ও জাত্যাভিমানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফসল হচ্ছে বাংলাদেশ। নজরুলের কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে মুক্তি ও সাম্যের পথে অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯৪৮ সালে গৃহীত সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় বর্ণিত, ‘সকল মানুষ স্বাধীন হয়েই জন্ম নেয় এবং অধিকার ও মর্যাদায় তারা সমান’- এই কথা নজরুল লিখেছিলেন অনেক আগেই। যেকোনো রকমের বৈষম্য থেকে মুক্ত থেকে, সম্ভাবনার আলোয় নিজেকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকারের প্রতি তিনি ছিলেন সোচ্চার।

 

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, নজরুলের অসামান্য কবিতা ‘নারী’-তে মেয়ে হয়ে জন্মানোর জন্য যে বৈষম্য তার বিরুদ্ধে তিনি লিখেছেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য কবিতায় তিনি মানুষের প্রতি যেকোনো ক্ষেত্রে, যেকোনো রকমের বৈষম্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

ব্লেক বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে সমাধিক পরিচিত, তার জন্মের ১শ ১৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও, এখন পর্যন্ত নজরুলের লেখনি আমাদের সবার কাছে তাৎপর্যময় মহৎ সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘আমি এই দেশে, এই সমাজে জন্মেছি বলে, শুধু এই দেশেরই এই সমাজেরই নই। আমি সকল দেশের সকল মানুষের’।