বরিশাল: বরিশাল ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজা হত্যাকান্ড নিয়ে বিবাদমান আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটি পক্ষ এই ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলাকে মুখ্যম ইস্যু হিসেবে কাজে লাগিয়ে অপর অংশকে মাঠ ছাড়া করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অবশ্য প্রাথমিকভাবে ওই অংশটি তাদের মিশন বাস্তবায়নে অনেকটা সফলও হয়েছে বলে মাঠে কথা চালু রয়েছে। আলোচিত এই হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে তৎকালীন সিটি মেয়র প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন হিরণ অনুসারী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনকে।’ সেই সাথে একই অংশের আরেক নেতা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ওয়াশিম দেওয়ানকেও জড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। কিন্তু প্রতিরোধে এই ছাত্রলীগ নেতা পাল্টা ভুমিকা রাখায় তাদের সে মিশন আর সফল হয়ে উঠেনি।’ কারণ এই অংশ অর্থাৎ প্রয়াত আ.লীগ নেতা হিরণ অনুসারীদের রাজনীতির মাঠে টিকিয়ে রাখতে নেপথ্যে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ভুমিকা রয়েছে।
তাছাড়া হিরণপত্নী জেবুন্নেছা আফরোজও বরিশাল সদর আসনের সাংসদ হওয়ায় তারও প্রভাবের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’ ফলে এজাহারে আসামি অর্ন্তভুক্ত করা নিয়ে ক্ষমতাসীন এ দুটি গ্রুপ পরস্পরবিরোধী ভুমিকা রাখায় মামলাও নথিভুক্ত হচ্ছিলো না। বিষয়টি থানা পুলিশের ভেতরকার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যে কারণে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজা হত্যাকান্ড নিয়ে মামলার প্রথম দিকে দেখা দেয় নাটকীয়তা। ঘাতকদের আড়ালে রেখে প্রতিপক্ষ হিরণ অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাদের দৌঁড়ের ওপর রাখতে অপর অংশটি নেয় কৌশল। অনেকটা নেপথ্যে থেকে জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে এ মিশন সফলে নামেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ফলশ্রুতিতে পুলিশ পড়ে যায় বিপাকে।
সেই সাথে নিহত রেজার পরিবারও। যে কারণে রেজা খুনের ২দিনের মাথাও থানায় মামলা রেকর্ড হয়নি। অথচ ২৭ মে রাতে হত্যাকান্ডের পরদিন দুপুরেই নিহত রেজার ভাই রিয়াজ উদ্দিন নামধারী ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছিলেন। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।’ কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, ওই এজাহারে সাংসদ পুত্র হাসানাতের ছেলে সাদিকের আস্তভাজন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসানকেও আসামি করা হয়েছিলো। অবশ্য সেই সময় দাবিও করা হয়েছিলো রাজীব খুনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।’
এমনকি তার পরিকল্পনা অনুযায়ীই উদীয়মান ছাত্র রাজনৈতিক রেজাউল করিম রেজাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যে কারণে তার নাম প্রথমে দায়ের করা এজাহারে ৩ নম্বার আসামির তালিকায় রাখা হয়েছিলো।’ অথচ সাদিক আব্দুল্লাহ নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ায় সেই এজাহারটি মামলায় রূপ নেয়নি। কিন্তু ২৯ মে রাতে রেজা হত্যাকান্ডে জড়িত সাদিক অনুসারী মেহেদী হাসান নামে এক কথিত যুবলীগ নেতা লঞ্চযোগে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে আটক করে পুলিশ। বলা বাহুল্য যে, সাদিক অনুসারী অপর কথিত যুবলীগ নেতা নিরব হোসেন টুটুল মেহেদীর পক্ষ নিয়ে রাতেই থানায় অবস্থান নেন। কারণ আটক মেদেহীকে যাতে কোন ধরনের নির্যাতন না করা হয়। পাশাপাশি তাদের ধারণা ছিলো, রাতেই মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করতে পারে। সেই মামলায় হিরণ অনুসারী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং সম্পাদক ওয়াশিম দেওয়ানকেই জড়ানো ছিলো তাদের টার্গেট। যে কারণে সাদিক অনুসারীদের থানায় রাতভর অবস্থান নিয়ে পুলিশকে চাপের মুখে রাখতে যথেষ্ট ভুমিকা রাখেন।’ অপরদিকে, হিরণ অনুসারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রকৃত খুনিদের অভিযুক্ত করতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজও পুলিশের উচ্চমহলে সুপারিশ রাখেন।
যে কারণে সাদিকের পরিকল্পনা সম্পুন্নরূপে বাস্তবায়িত হয়নি। তবে তাদের মিশন কিছুটা সফলও হয়েছে। সাদিকের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজীব আহসানকে এজাহার থেকে বাদ দিয়ে মহানগর সভাপতি জসিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এখন নিহত রেজার ভাই রিয়াজ উদ্দিনের দায়ের করা এই মামলার ২৬ আসামির মধ্যে ১২ নম্বার বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন। এই হত্যাকান্ডটি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করার মিশন দেখে বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে রেজার পরিবার।’ কারণ মামলাটি নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি চলছে, তা নিহত ছাত্রলীগ নেতা রেজার পরিবারও ইত্যোমধ্যে আঁচ করতে পেরেছে। তাছাড়া নিহত রেজার খালাতো ভাই উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের ঘটনা সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় কর্মরত রয়েছেন। ফলে এই হত্যাকান্ড নিয়ে যে কি হচ্ছে বা চলছে তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখেনি রেজার পরিবার। এমতাবস্থায় বরিশাল পুলিশের উচ্চমহলে ভাষ্য হচ্ছে, নিহত রেজা এবং তার ঘাতকরা যেহেতু রাজনীতির সাথে জড়িত সেক্ষেত্রে সুপারিশ আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু নিরাপরাধ কাউকে যদি আসামি করা হয়ে থাকে তা তদন্তে প্রমান পেলে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হবে।
বিশেষ করে এমনটাই দাবি করেছেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মূখপাত্র সহকারি কমিশনার (এসি) আবু সাঈদ।’ কিন্তু হিরণ অনুসারী একাধিক সূত্রের অভিমত হচ্ছে, ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজা হত্যাকান্ডকে ইস্যু হিসেবে দাড় করিয়ে প্রতিপক্ষ হিরণ অনুসারী ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঠ ছাড়া করে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন হাসানাত পুত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। কারণ হিরণে মৃত্যুর পরে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে বেশ লবিং-তদ্বির চালিয়ে আসছেন এই যুবলীগ নেতা।’ বিশেষ করে সাদিক চাইছেন বরিশাল মহানগরের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মতো পদে অসীন হতে। কিন্তু শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপে হিরণ বলয়টি ঐক্যবদ্ধ থাকায় কেন্দ্রে তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না সাদিক আব্দুল্লাহ। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজার কাকতালীয় হত্যাকান্ডটি সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর জন্য ট্রামকার্ড হয়ে দাড়িয়েছে।’ এক্ষেত্রে বিরোধী শিবির অর্থাৎ হিরণ অনুসারীদের দাবি হচ্ছে, সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল পলিটেকনি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রেজাউল করিম রেজা হত্যাকান্ডটি নিয়ে নোংরা রাজনীতি করে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন। সেই সাথে কেন্দ্রকেও জানান দিতে চাইছেন এখানে তার শক্তপোক্ত অবস্থান রয়েছে।
যে কারণে তিনি রেজা হত্যাকান্ড নিয়ে নগ্ন রাজনীতিতে মেতে উঠে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দৌঁড়ের ওপর রাখার অপকৌশল নিয়েছেন। বিশেষ করে এমনটাই ভাষ্য হচ্ছে, হিরণ অনুসারী বরিশাল মহানগর যুবলীগ আহবায়ক অ্যাডভোকেট নিজামুল ইসলামের। যদিও এই নেতা বলছেন, সাদিক আব্দুল্লাহ যে আশা নিয়ে মিশনে মাঠে নেমেছে তা গুড়োবালিতে পরিনত হবে।’ তাছাড়া তিনি যে গায়ের জোরে রাজনীতি করতে চাইছেন বা করছেন সে বিষয়টি বরিশালবাসী অনেক আগ থেকেই অবগত। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতারা জানেন। সঙ্গত কারণে বলা অপেক্ষা রাখে না যে রেজা হত্যাকান্ড নিয়ে কোন ধরনের রাজনীতি চলছে।’ তবে সাদিক আব্দুল্লাহ দাবি হচ্ছে, প্রতিপক্ষ কাউকে মাঠ ছাড়া বা ঘায়েলের উদ্দেশ্য নিয়ে কখনো রাজনীতি করেননি। এবং করবেনও না। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সমূলে অস্বীকার করে তিনি বলছেন, রেজা তার অনুসারী ছিলেন।
সুতরাং তার খুনের বিচার চাওয়াটা অপ্রত্যাশিত কোন বিষয় নয়।’ খুনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার ভড়িপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তার রাঢ়ীর ছেলে রেজাউল করিম রেজা বরিশাল পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে রাজধানীতে বিএসসি করছিলেন। বিগত সময়ে তিনি ওই কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এই ছাত্রলীগ নেতা আলোচনায় আসেন ২০১০ সালে একটি বরিশাল পলিটেকনিকে প্রকাশ্যে একটি ভয়াত্ব কোপাকুপি ঘটনা জন্ম দিয়ে। যে ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ পরবর্তী টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়লে দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি আন্তজার্তিক মিডিয়াতেও ফলাও করে সেই কোপাকুপির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। যে বিষয়টি ওই সময় বিশ্ব নেতাদের আলোচনার খোরাক হয়েও দাড়িয়েছিলো। সঙ্গত কারণে তাদের অভিব্যক্তি ছিলো, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদে পরিনত হয়েছে।’ যদিও শেষতক সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তখন পলিটেকনিক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক এবং রেজা জেলও খেটেছিলেন।
এরপরে রাজ্জাক বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে কলেজ ছাত্রলীগের পুরো অংশকে নিয়ন্ত্রণ করতেন রেজাউল করিম রেজা এবং আরেক নেতা আব্দুল হান্নান বাপ্পি। ওই সূত্রটি আরও জানায়, ওই সময় রেজা সাংগঠনিকভাবে নিজের বলবৃদ্ধি লক্ষে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণ শিবিরে যোগ দেন। এর পর থেকে বাপ্পি এবং রাজ্জাকের নিয়ন্ত্রণে ছিলো পকিটেকনিক কলেজ কেন্দ্রীক রাজনীতি। কিন্তু পরবর্তীতে রেজা মহানগর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীক রাজনীতির দিকে ধাবিত হলে পুনরায় রাজ্জাকের শিবিরে ফিরে যান। বর্তমানে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা বরিশাল মহানগর কমিটি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশি ছিলেন। একই পদপ্রত্যাশি হচ্ছেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসান। যে কারণে তাদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছিলো।’
এছাড়া দু’ভাগে বিভক্ত পলিটেকনিকেরও ছাত্রলীগের দুটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন এই দুই ছাত্র নেতা। কিন্তু এই দুই ছাত্রলীগ নেতার কারোই ওই কলেজে ছাত্রত্ব নেই।’ ওই সূত্রটি আরও জানায়, রেজা এবং রাজীব উভয়েই চেয়েছিলেন ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা কলেজ কমিটিতে তাদের অনুসারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে। যা নিয়ে উভয়ে মধ্যে বিরোধ চরম আকারে ধারন করে। এমনকি এনিয়ে রেজা হত্যাকান্ড পূর্ব একাধিকবার কলেজ ক্যাম্পাসে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘাতও হয়েছে, ঝড়ছে রক্ত। কলেজের সার্বিক নিরাপত্তা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক ধরনের হিমশীম খাচ্ছিলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন।’
ছাত্রলীগের অপর একটি সূত্র জোর দিয়ে জানায়, এই দুই নেতার বিরোধ নিরসনে ২৭ মে রাত ৮টার দিকে নগরীর কালিবাড়ি রোডে যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কলেজ কমিটি গঠন নিয়ে রাজীবের অনুকুলে সাদিক অবস্থান নেয়। এতে সাদিকের ওপর রেজা ক্ষুব্ধ হয়ে মোটরসাইকেলযোগে বেরিয়ে যান।
সেই সময় তার সাথে ছিলেন সহযোগী ফাহিম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী।’ হঠাৎ করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর আসে প্রতিপক্ষ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসানের অনুসারী সাইদুর রহমান, জাহিদ, রাকিব, রাজিব এবং ছোট মেহেদীসহ অন্তত ৯ জনের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হন রেজা, ফাহিম এবং মেহেদী। তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা পাওয়ার পরে রেজার মৃত্যু হয়। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।’