পিরোজপুর: পিরোজপুরে হেমলাল শীল নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করার অপরাধে তার ভাগ্নে নিবাস চন্দ্র শীলকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন। নিবাস চন্দ্র শীল সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের মৃত সুখরঞ্জন শীলের ছেলে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ষোলষত গ্রামে মামা হেমলাল শীলের বাড়িতে আসেন নিবাস। দুপুরে খাওয়ার পর মায়ের জমি বাবদ মামার কাছে এক লাখ টাকা চান তিনি। এসময় হেমলাল টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ওই দিনগত রাতে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিবাস সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হেমলালকে গলা কেটে হত্যা করেন।

 

পরে স্থানীয়রা নিবাসকে আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় নাজিরপুর থানায় নিবাসকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন হেমলালের ছেলে শ্যামল কুমার শীল। এরপর পুলিশ নিবাসকে গ্রেফতার করার পর তিনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এরপর ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া এ রায় দেন।