পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দেবত্র গ্রামের রেজাউল হক মামুন(২৮)নামে নিখোঁজ এক ব্যবসায়ীকে  বরগুনার বামনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেঁচান গ্রামের বিষখালী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করেছে জেলেরা। আজ রবিবার ভোরে ওই নদীর তীরে একটি হোগলবন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

 
ইট-বালু ও পাথর ব্যবসায়ী রেজাউল হক মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দেবত্র গ্রামের মো. জিয়াউল হক ফারুকীর ছেলে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল।

হাপাতাল ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়ার দেবত্র গ্রামের ইট-বালু ও পাথর ব্যবসায়ী রেজাউল হক মামুনের ট্রলারের মালামাল খালাসের সময় প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী শহীদ ও জাকির মিলে রেজাউলের ট্রলারের এক শ্রমিককে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে ব্যবসায়ী রেজাউলকেও মারধর করা হয়।

 

এ ঘটনার বিচার চাইতে ওইদিন বিকালে রেজাউল মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ জানাতে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেননি। স্বামী নিখোঁজের ব্যাপারে তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা সুমী পরদিন গত শুক্রবার মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি(জিডি) করেন।

 

রবিবার ভোর ৫টার দিকে তার আর্ত-চিৎকারে নদীতে মাছধরারত কয়েকজন জেলে এগিয়ে এসে ব্যবসায়ী রেজাউলকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে আহত ব্যবসায়ী রেজাউলের বাবা জিয়াউল হক ফারুকী বলেন, ব্যবসায়িক বিরোধেই তার ছেলেকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তার হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে আহত করার পর মৃত ভেবে তাকে বিষখালী নদীর তীরে হোগল বনে ফেলে রাখা হয়। আল্লাহর অসীম দয়ায় আমার ছেলে এখনও প্রাণে বেঁচে আছে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজের বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় জিডি করেছিলেন। তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের খবর পেয়ে বরিশাল মেডিক্যালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।