গাজীপুরে টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় শনিবার ভোরে ট্যাম্পাকো লিমিটেড নামের একটি প্যাকেজিং কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ তলা ভবনটি পুরোপুরি ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ও চাপা পড়ে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভোর ৬টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখনও ফায়ার সার্ভিসের ২৯ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান জানান, টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ রাখা হয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন অর্ধশত।
এদিকে টঙ্গী থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ২৩ জনকে ভর্তি করার পর চার জন মারা গেছেন বলে জানান ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান। ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। .
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- ট্যাম্পাকোর সিকিউরিটি গার্ড আবদুল হান্নান ও জাহাঙ্গীর, প্রিন্টিং টেনিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, শিফট ইনচার্জ শুভাশিশ চন্দ্র, জেনারেটর অপরেটর আনিসুর রহমান, ক্লিনার শঙ্কর সরকার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতরা হচ্ছেন- সিকিউরিটি গার্ড দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মেশিনম্যান আনোয়ার হোসেন (৪০), শ্রমিক অহিদুজ্জামান স্বপন (৩৪) ও অজ্ঞাত নারী।
দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এসে আহত রোগীদের খোঁজখবর নেন।