ঢাকা থেকে বরিশাল আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১২ যাত্রীর লাগেজ উধাও হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ৪৯ মিনিট বিলম্বে বিকেল ৩টা ৪ মিনিটে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশের বিজি-৪৬৯ নম্বরের ফ্লাইটটি। যাত্রী নামিয়ে ফের ৪০ জন ফিরতি যাত্রী নিয়ে বিমানের ফ্লাইটটি বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এরপরই দেখা দেয় বিপত্তি। বিমান চলে গেলেও বেশ কয়েকজন যাত্রী তাদের লাগেজ না পেয়ে হা-হুতাশ করতে থাকেন। এদের মধ্যে ছিলেন বিদেশী যাত্রীও। ততক্ষণে বরিশালের আকাশ সীমানা ত্যাগ করে ফ্লাইটটি। লাগেজ খোয়ানো যাত্রীদের মধ্যে অন্যতম বরগুনার আমতলীর মেডিকেল শিক্ষার্থী রুবাইয়া নরা।
তাকে এগিয়ে নিতে বরিশাল বিমানবন্দরে এসেছিলেন বাবা কলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম তালুকদারও। নজরুল ইসলাম তালুকদার অভিযোগ করেন, তারা ভেবেছিলেন হয়তো লাগেজ পেতে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু যখন দেখেন ফিরতি ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে চলে গেছে, অথচ তার মেয়ে লাগেজ পাননি, তখন তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। তবে কোনো যাত্রীর লাগেজ খোয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বরিশালস্থ ম্যানেজার এবায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, কোনো কারনে ‘মিসিং’ হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ পাওয়ার পর বিমান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ১০/১২ জন যাত্রীর লাগেজ না পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এদের সবার লাগেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে। তাদের লাগেজ আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিমানের পরবর্তী ফ্লাইটে বরিশাল আসবে। যাত্রীদের লাগেজ-ব্যাগেজ অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ারও শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি।
বরিশাল বিমানবন্দরের ম্যানেজার মো. হানিফ গাজী বলেন, যাত্রীদের লাগেজ না পাওয়ার বিষয়টি আগে জানলে তিনি ফ্লাইট দেরি করাতেন। কিন্তু ফ্লাইট চলে যাওয়ার পর তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তখন আর কিছুই করার ছিল না। তবে যাত্রীরা পরবর্তী ফ্লাইটে এসব লাগেজ-ব্যাগেজ ফিরে পাবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।